ফিলিপাইনে সেনা-জঙ্গি যুদ্ধে নিহত ৪৫
১৩ আগস্ট ২০০৯গুয়েরেরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বাসিলান দ্বীপে আবু সায়াফ বিদ্রোহীদের প্রধান প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে আমরা সেনা অভিযান চালিয়েছিলাম৷ কিন্তু সেখানে আমরা বিদ্রোহীদের ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হই৷ জানা গেছে, সেনা, নৌ এবং পুলিশ বাহিনীর প্রায় ৫০০ সদস্য এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল৷ সেখানে ৮ ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধ চলার পর বিদ্রোহীরা ঘন জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, দাবি সেনা সূত্রের৷
অবশ্য আরেক সেনা কমান্ডার রিয়ার এ্যাডমিরাল আলেক্সান্ডার পামা বলেন, কমপক্ষে ৪০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে৷ তবে ঘটনাস্থলে ২২ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷ পামা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে খুব কাছাকাছি সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে৷ যে কারণে বিদ্রোহীদের উপর বিমান হামলার কোন সুযোগ ছিল না৷ তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা বিদ্রোহীদের বোমা বানানোর কারখানা এবং প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি৷
উল্লেখ্য, রোমান ক্যাথলিক রাজ্য ম্যানিলার দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কিন্তু ভয়ংকর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হচ্ছে আবু সায়াফ বাহিনী৷ তাদের প্রায় ৩৫০ লড়াকু যোদ্ধা রয়েছে যারা মূলত বাসিলান এবং পার্শ্ববর্তী জোলো দ্বীপকে ঘিরে তাদের আস্তানা গড়ে তুলেছে৷ আবু সায়াফ বাহিনীর সাথে এশিয়ার গোঁড়া মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী জেমাহ ইসলামিয়াহ এবং আল কায়েদার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ ২০০৪ সালে ম্যানিলা উপসাগরে ফেরি ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনার জন্য আবু সায়াফকে দায়ী করা হয়৷ ঐ ফেরি ডুবিতে ১০০ জন মারা গিয়েছিল৷
প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার