আফ্রিকা কাপ জিতল নাইজিরিয়া
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩প্রায় বিশ বছর পরে আফ্রিকা কাপ জিতল নাইজিরিয়া৷ ভিক্টর মোজেস হন ম্যান-অফ-দ্য-ম্যাচ৷ গতবছরের ফাইনালে দীন-হীন জাম্বিয়া দ্রগবা-র প্রতাপশালী আইভরি কোস্ট-কে চমকে দিয়েছিল৷ কিন্তু রবিবার এম্বা ৪০ মিনিটের মাথায় একটি স্বপ্নাদ্য গোল করে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দেন৷
নাইজিরিয়ার এই জয়ে সবচেয়ে খুশি হয়েছেন বোধহয় কোচ স্টিফেন কেশি, যিনি ১৯৯৪ সালে নাইজিরিয়া শেষবার আফ্রিকান কাপ জেতার সময় নাইজিরিয়ার ক্যাপ্টেন ছিলেন৷ একাধারে খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে আফ্রিকান কাপ জেতার ঘটনা এর আগে মাত্র একবারই ঘটেছে৷ এছাড়া বিগত ২০ বছরে কোনো দেশ একজন কৃষ্ণাঙ্গ কোচের তত্ত্বাবধানে আফ্রিকা কাপ জিততে পারেনি৷ ও হ্যাঁ, এর ফলে আবার নাইজিরিয়া আগামী জুন মাসে ব্রাজিলে কনফেডারেশনস কাপের জন্যও কোয়ালিফাই করল৷
জোহানেসবার্গের সকার সিটি-তে ৮৭,০০০ দর্শক দেখে এম্বা-র গোল: একটি রিবাউন্ড সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাঁ পায়ের ভলিতে করা গোল৷ প্রতিপক্ষ ভিক্টর মোজেস-এর একটি শট আটকে দেবার পর এম্বা তিনটি ক্ষিপ্র অ্যাকশনে বলটা কন্ট্রোল করেন, মোহামেদ কফি-র মাথার উপর দিয়ে চিপ করেন এবং গোলকিপার দাউদা দিয়াকিতে-কে হতভম্ব করে একটি ভলিতে বলটি গোলের একেবারে ডান পাশে ঢুকিয়ে দেন৷
বুর্কিনা ফাসো এই প্রথমবার আফ্রিকা কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে৷ কাজেই বুর্কিনা ফাসোর কোচ পল পুট বলেছেন, তিনিও তাঁর খেলোয়াড়রা যা করেছে, তার জন্য গর্বিত৷ ওদিকে কেশি তাঁর মানবিক দিকটাও দেখিয়েছেন প্রবীণ ডিফেন্ডার ও নিয়মিত ক্যাপ্টেন জোসেফ ইওবো-কে ৮৯ মিনিটের মাথায় মাঠে নামার সুযোগ দিয়ে৷
এর আগে পাঁচটি আফ্রিকা কাপে খেলেছেন ইওবো, কিন্তু কাপ জেতাটা এই প্রথম৷ ১১-১২ বছর ধরে নাইজিরিয়ার হয়ে খেলছেন এবং বলেছেন এটাই হবে তাঁর শেষ আফ্রিকান কাপ৷ সেই শেষ কাপেই পাত্র ভরে গেল তাঁর৷ চূড়ান্ত বাঁশি বাজার পর পরই নাইজিরিয়ার প্লেয়াররা সমর্থকদের কাছ থেকে দেশের পতাকা তুলে নিয়ে মাঠ পরিক্রমা শুরু করে৷ ডিফেন্ডার এফে আমব্রোজ নাইজিরিয়ার বৃহত্তম ফ্যান ব্লকটির সামনে একাধিক উল্টো ডিগবাজি দেন৷ প্লেয়াররা নেচেছে, কেশিকে কাঁধে তুলেছে৷ তবে নাইজিরিয়ার হয়ে সোনারঙের ট্রফিটি ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন ইওবো, যার স্বপ্ন সার্থক হয়েছে৷
এসি/এসবি (এপি, ডিপিএ)