প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তপ্ত কাশ্মীর
১২ জুন ২০০৯জম্মু - কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহার করছে –স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলির এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ তাই নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব ও কর্তব্য ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷ দুই দিনের সফরে গিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সশস্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন পযার্লোচনার আশ্বাস দেন৷ জঙ্গি দমনের নামে এই আইনে সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা, যা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায়না৷ পাশাপাশি রাজ্যর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব থাকবে রাজ্য পুলিশের উপর৷ কেন্দ্রীয় আধাসামারিক বাহিনীর ভুমিকা হবে রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করা, বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চিদাম্বরম৷
সম্প্রতি রাজ্যর শোপিয়া একায় দুজন কাশ্মীরি মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ তারই জের ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় চলেছে লাগাতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ৷ ঐ ঘটনার বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবারও বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু করলে পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্রাস ছোঁড়ে এবং লাঠি চালায়৷ ঐ ধরণের ঘটনায় হামেশাই কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ খন্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, শোপিয়ার ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে কাশ্মীর থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি৷ তবে কবে নাগাদ করা হবে তাও বলেননি৷এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার সময়মত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজী বলেও জানান তিনি৷
কাশ্মীর গেজেট পত্রিকার সম্পাদক সুশীল ভকিল ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ওবামা প্রশাসনের কাশ্মীর নীতির চাপেই মনমোহন সিং সরকারের এই নয়া উদ্যোগ ৷ তবে এই উদ্যোগ কতটা কাযর্কর হবে , তা নিয়ে সংশয় আছে৷ জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা স্বয়ং বলেছেন , কাশ্মীরের বাস্তব অবস্থা সেনা প্রত্যাহারের অনুকূল নয়৷ অন্যদিকে মাকির্ন চাপেই মধ্যপন্থী হুরিয়াত নেতারা নতুন দিল্লির সঙ্গে এখন আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক