পাকিস্তানে 'জঙ্গি ঘাঁটি'তে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ ভারতের
৭ মে ২০২৫পহেলগামে জঙ্গি আক্রমণের প্রত্যাঘাত করলো ভারত। রাত একটা ৪৪ মিনিটে ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' শুরু করে। ভারতের দাবি, মোট নয় জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটির উপর আক্রমণ করা হয়েছে।
ভারত জানিয়েছে, ''আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করেছি। এটাকে বলা হচ্ছে, প্রিশিসন অ্যাটাক। পাকিস্তানের সামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা হয়নি। ভারত টার্গেট বাছার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে। সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগেই জানানো হয়েছিল, পহেলগামে যারা আক্রমণ করেছে, তাদের ছাড়া হবে না। সেই মতো আঘাত হানা হয়েছে।''
পাকিস্তানের ডিজি আইএসপিআর লেফটোন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, ''ভারত কোটলি, মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর, চক আমরু, ভিমবের, গুলবপুর, শিয়ালকোট এবং মুজফফরাবাদের দুইটি জায়গায় আঘাত হেনেছে।''
শিয়ালকোট, বাহাওয়ালপুর, চক আমরু ও মুরিদকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে, বাকি জায়গাগুলি পাক শাসিত কাশ্মীরে প্রকৃত নিয়ন্রণরেখার ওপারে।
মুরিদকে হলো হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তইবার সদরদপ্তর, বাহাওয়ালপুর হলো জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি।
পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, ''পাকিস্তানের উপযুক্ত জবাব দেয়ার অধিকার আছে। ভারত আমাদের উপর জোর করে যুদ্ধ চাপিয়ে দিলো। আমরাও তার যোগ্য জবাব দেব।''
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ''ন্যায় হলো। জয় হিন্দ।''
পুঞ্চ-রাজৌরিতে গোলাগুলি
এরপরই পুঞ্চ-রাজৌরিতে পাকিস্তান গোলাগুলি চালায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণের যোগ্য জবাব দেয়া হচ্ছে।
ভারতীয় সেনা জানায়, পুঞ্চ-রাজৌরির ভিমবের গলিতে পাকিস্তান গোলাবর্ষণ করছে। ভারতও সীমান্তে বিমান বাহিনীর সব ইউনিটকে তৈরি থাকতে বলেছে। পাকিস্তান হামলা করলে যাতে তার জবাব দেওয়া যেতে পারে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)