পাকিস্তানে চলছে আফগানদের দেশে ফেরানো
আফগানিস্তানে এখন আর কোনো যুদ্ধ নেই সেখানে৷ তাই অনেক বছর বসবাসের ফলে প্রায় স্থায়ী হয়ে যাওয়া আফগানদেরও ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান সরকার৷ ছবিঘরে দেখুন অনিচ্ছুক আফগানদের স্বদেশে ফেরা...
যাদের ছাড়তে হচ্ছে পাকিস্তান
পুলিশ বলছে, তার পরিবারেরও পাকিস্তানে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজ-পত্র নেই, তাই ১০ বছর বয়সি মাদ্রাসাছাত্রী তুরিয়াকেও ফিরতে হচ্ছে স্বদেশে৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে তাকেও ধরে এনে আটক করে রেখেছিল করাচি পুলিশ৷ আটকাবস্থা থেকে তুরিয়া এখন মুক্ত, তবে পাকিস্তানের চেনা পরিবেশে থাকার স্বাধীনতা তার নেই, ‘অচেনা’ স্বদেশে ফেরার জন্য বাসে উঠে বসেছে সে৷
হালিমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
নওশেরা জেলার আযাখেল শহরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কার্যালয়ের সামনে সাত মাস বয়সি বোনকে কোলে নিয়ে হালিমার অপেক্ষা৷ এই দুই শিশুকেও ছাড়তে হবে পাকিস্তান, যেতে হবে আফগানিস্তান৷
কিছুই যায় না ফেলা
পাকিস্তানে বসবাসের জন্য বৈধ কাগজ-পত্র না থাকায় তাদের ফিরে যেতে হবে- এ কথা জানার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে জমানো সব জিনিস গুছিয়ে রেখেছিলেন বোরকা পরা এই নারী৷ সব নিয়ে ট্রাকে উঠে বসেছেন তিনি৷ গত ৩ নভেম্বরের ছবি৷
বিদায়ের আগে এক পলক
নওশেরা জেলার আযাখেল শহরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কার্যালয়ের সামনে থেকে আফগানিস্তানে যাচ্ছে গাড়ি৷ সেই গাড়িতে চড়ে আফগানিস্তান যাওয়ার আগে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য একবার দেখে নিচ্ছে এক শিশু৷
সামনে তার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
গত ৩ নভেম্বর তোলা এ ছবিটিও নওশেরা জেলার আযাখেল শহরের ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ের সামনের৷ আফগানিস্তানগামী এক ট্রাক থেকে নামছে এক কিশোর৷
আফগানদের ক্ষোভ
পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্তে আফগানরা অসন্তুষ্ট, ক্ষুব্ধ৷ করাচি থেকে আফগানিস্তানে ফেরার আগে বাসের জানালা থেকে সংবাদ মাধ্যমকে সেসব ক্ষোভের কথাই জানাচ্ছেন কয়েকজন৷
বেরহাম খানের সর্বনাশ
৭২ বছর বয়সি বেরহাম খানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে, এই বয়সে চার সন্তানকে নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করবেন কীভাবে ভেবেই পাচ্ছেন না তিনি!
এসিবি/ কেএম (রয়টার্স)