পাকিস্তানের সঙ্গে সই হওয়া পানি চুক্তি বদলাতে চায় ভারত
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩চুক্তি অনুযায়ী, ভারত সিন্ধু অববাহিকার পূর্ব দিকের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রুর নিয়ন্ত্রণ পায়৷ আর পাকিস্তান পায় পশ্চিমের তিন নদী-চন্দ্রভাগা, সিন্ধু ও ঝিলমের ভাগ৷
এছাড়া সেচ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভারত চাইলে পশ্চিমের তিন নদীর ২০ শতাংশ পানি ব্যবহার করতে পারে৷
চুক্তি বাস্তবায়নে একটি স্থায়ী কমিশনও গঠন করা হয়৷ দুই দেশের মধ্যে কয়েকবার উত্তেজনা তৈরি হলেও গত ৬০ বছরে ঐ চুক্তি বাস্তবায়নে সমস্যা হয়নি৷
তবে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইডাব্লিউটি চুক্তি নিয়ে ভারতের অসন্তোষ সামনে আসতে শুরু করে৷
২০১৬ সালে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ভারতের ১৯ জন সেনা নিহত হওয়ার পর মোদী আইডাব্লিউটি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘‘রক্ত ও পানি একই সময়ে একসঙ্গে বইতে পারে না৷'' পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গিদের মদদ দেয়ার অভিযোগ করে ভারত৷ তবে পাকিস্তান সবসময় এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে৷
বিজেপির আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রিয়া শেঠী ‘পাকিস্তানে পানিপ্রবাহ বন্ধ নিশ্চিত করতে বাঁধ ও সেচ চ্যানেল তৈরির' আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আইডাব্লিউটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, কারণ আমরা কেন আমাদের পানি পাকিস্তানে যেতে দেব- যে দেশটি সবসময় আমাদের সমস্যায় ফেলে?''
‘‘আমরা বাধা তৈরি করবো, যেন পাকিস্তানে যাওয়ার পরিবর্তে সেই পানি জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতের উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যবহার করতে পারেন,'' বলেন ঐ বিজেপি নেতা৷
পাকিস্তান সম্প্রতি বিষয়টি দ্য হেগের ‘পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন' বা পিসিএতে তুলেছিল৷ কিন্তু গতমাসের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম বৈঠকে ভারতের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেননি৷ ভারত বলছে, আইডাব্লিউটি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার যোগ্যতা পিসিএর নেই৷ এর জন্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন বলে মবে করে ভারত৷
ভারত যদি আইডাব্লিউটি থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তানে পানি যাওয়া বন্ধ করে তাহলে পাকিস্তানের প্রায় ৬২ শতাংশ কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷
সামান লতিফ/জেডএইচ