পতৌদি বিপদমুক্ত, সালমানের টেক্বা শাহরুখকে
৪ সেপ্টেম্বর ২০১১মনসুর আলি খান পতৌদি৷ দুনিয়াখ্যাত প্রাক্তন ক্রিকেটার৷ এক সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন৷ ফুসফুসে সাংঘাতিক সংক্রমণ নিয়ে পতৌদি সাহেব হাসপাতালে ভর্তি এখন৷ বয়স তাঁর সত্তর৷ অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে পড়ায় শুক্রবারেই তাঁকে নতুন দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ শ্যুটিং ফেলে সঙ্গে সঙ্গেই সাইফ দৌড়ন মুম্বই থেকে৷ পতৌদি বেগম শর্মিলা ঠাকুর আগে থেকেই মজুত ছিলেন৷ তবে, রবিবারে চিকিৎসকরা জানান, নবাবসাহেব এখন বিপদমুক্ত৷ তাঁর সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে৷
সাইফও নিশ্চিত অতএব৷ আরক্ষণ নামের যে ছবিতে সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেছেন, জাতপাতের বিষয় থাকায় সেটিকে নিয়ে কিছু বিতর্ক দেখা দিয়েছিল৷ দু'একটি ভারতীয় প্রদেশ সে ছবিকে যে যার রাজ্যে মুক্তি পেতে দেয়নি৷ তা সত্ত্বেও প্রকাশ ঝা নির্দেশিত সেই ছবিটি প্রথম চারদিনেই ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করায় সাইফ নিজেও খুব আহ্লাদিত৷ তার ওপর পতৌদি সাহেবও বিপদমুক্ত হওয়ায় সবদিকেই মঙ্গল৷
এদিকে গোটা দুনিয়ায় বলিউডের নাম রওশন করা কিং খান বা শাহরুখ খানকে টেক্বা দিয়ে দিলেন সালমান খান৷ সচরাচর বিদেশে শাহরুখের ছবি সবসময়েই হিট৷ ভারতের বাইরে ইউরোপ সহ অন্যান্য মহাদেশে শাহরুখকেই একডাকে সকলে চেনে৷ কিন্তু, এবার সেই একচেটিয়া বাজারেও দেখা যাচ্ছে প্রতিযোগিতা৷
প্রতিযোগিতায় নেমেছেন আর কেউ নয়, শাহরুখের একদা বন্ধু, এখন বেশ শত্রু, সালমান খান৷ সালমানের সাম্প্রতিক ছবি বডিগার্ড জোরেসোরে বিদেশে শাহরুখের ছবির রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে ইতিমধ্যেই৷ রেকর্ডটাও তাহলে জেনে নেওয়া যাক৷ গত বছর শাহরুখ অভিনীত নাইন ইলেভেন সম্পর্কিত ছবি, মাই নেম ইজ খান ব্রিটেনে প্রথমদিনেই ১৯১,০০০ পাউন্ডের ব্যবসা করেছিল৷ সেটা ছিল বিদেশে কোন বলিউডি ছবির প্রথমদিনের টিকিট বিক্রির সর্বোচ্চ রেকর্ড৷ আর সালমানের বডিগার্ড ওই ব্রিটেনেই প্রথমদিনে করে ফেলেছে ১৯৪,০০০ পাউন্ডের টিকিট বিক্রি৷ সুতরাং, কিং খান টেক্বা খেয়ে গেলেন সাল্লুভাইয়ের কাছে৷
শোনা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যেও নাকি বিশাল ব্যবসা করে চলেছে সালমানের বডিগার্ড৷ কীরকম? প্রথম দুদিনেই ১.৬ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছে ছবিখানা৷ অবশ্যি, সালমানেরই আরেকখানা হিট ছবি দাবাং এর আগে ওই মধ্যপ্রাচ্যে ১.৭ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছিল প্রথম দুই দিনে৷ তবে সেটাও তো আবার সালমান অভিনীত ছবিই! তাই নায়ক নিশ্চয়ই বেশ আত্মপ্রসাদ বোধ করছেন এই মাত মাত সাফল্যের পর!
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: জাহিদুল হক