নির্দেশনা প্রত্যাহারে কতটা ‘নারীবান্ধব’ বাংলাদেশ ব্যাংক?
২৫ জুলাই ২০২৫২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ পোশাক সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দেয়৷ নারী কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য ‘পেশাদার শালীন পোশাক' পরার কথা বলে দেয়া হয় শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস, অর্থাৎ ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরিহার করার নির্দেশনা৷ এছাড়া ফর্মাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতেও বলা হয় সেখানে। পুরুষদের জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করে দেয়া হয় লম্বা বা হাফ হাতার ফর্মাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট ও ফর্মাল প্যান্ট পরার নির্দেশনা। নির্দেশনা না মানলে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনার কথাও বলা হয় সেখানে৷
সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পর শুরু হয় সমালোচনা ৷ ২৪ জুলাই গভর্নরের উদ্যোগে ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়৷
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এটা ছিল পরামর্শমূলক, নির্দেশনামূলক নয়। কোনো অফিসিয়াল আদেশও জারি করা হয়নি। তবে সেটা যা-ই হোক, সব কিছুই প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে, আমাদের পরামর্শও এখন আর নেই। পোশাকের ব্যাপারে ব্যাংকের সবাই স্বাধীন।”
সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা সব বয়সের নারী ও পুরুষের মধ্যে পোশাকে একটা ইউনিটি আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের বলার ধরনটি হয়ত ঠিক ছিল না। মানুষ গ্রহণ করেনি। আর ভুল তো সংশোধন করা যায়। তাই আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করলাম।”
তবে তিনি স্বীকার করেন, "বাংলাদেশ ব্যাংকে সুনির্দিষ্ট কোনো ড্রেস কোড নাই। আগেও ছিল না। সবাই স্বাধীন মতো পোশাক পরতে পারেন। তবে সাপোর্ট স্টাফদের পোশাক নির্ধারিত আছে। তাদের আমরা পোশাক ভাতাও দিই।”
জারি করার দুই দিন পর নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করা হলেও জানা গেছে, নির্দেশনা বা পরামর্শটি যারা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আইনজীবী ও নারী নেত্রীরা বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাকের বিষয়ে ব্যাংকার মামুন রশীদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আসলে কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলোতেও কোনো ড্রেস কোড নাই। তবে বিভিন্ন ব্যাংক তার অভ্যন্তরীণ পলিসিতে পোশাকের ব্যাপারে পারামর্শ দেয়। এটা লিখিত কিছু নয়। এটা মোটিভেশনাল। যেমন, একটি সুপরিচিত ব্যাংক তাদের নারী কর্মীদের সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটি দিনে শাড়ি পরতে উৎসাহিত করে। আরেকটি ব্যাংক মনে করে, নারীরা ব্লেজার পরলে ক্লায়েন্টদের স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে পারবেন। ব্যাংকে ‘ক্লায়েন্ট ফেসিং' বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়। আর সেভাবে পোশাকের ব্যাপারে বলা হয়। পুরুষের জন্য অনেক ব্যাংক শার্ট, প্যান্ট এবং জুতার সাথে টাই গুরুত্ব দেয়। নারীদের ক্ষেত্রে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, আবার কোথাও ব্লেজার গুরুত্ব দেয়া হয়। ব্যাংকগুলোতে ডাইভার্সিটি টিম আছে। তারা এগুলো দেখে। তবে এটা কোনো নির্দেশনার বিষয় নয়, এগুলো উদ্বুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়। আবার শীত ও গ্রীষ্মে পোশাকে কিছুটা পরিবর্তন আসে৷” তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার ‘‘বিভিন্ন ব্যাংক তার অভ্যন্তরীণ পলিসিতে পোশাকের ব্যাপারে পারামর্শ দেয়। এটা লিখিত কিছু নয়-'' বললেও বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ নির্দেশনা বা পরামর্শটি লিখিতভাবেই দিয়েছিল এবং সেখানে ‘পোশাকের শালীনতা' বজায় রাখা এবং নির্দিষ্ট কিছু পোশাক পরিহারের কথাও বলা হয়েছিল৷
কোন কর্মক্ষেত্রে কেমন পোশাক?
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও জনপ্রশাসন বিষয়ক লেখক সাবেক অতিরিক্ত সচিব মেহাম্মদ ফিরোজ মিয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আসলে প্রশাসনের চাকরিতে কোনো ড্রেস কোডের বিধান নাই। তবে কিছু আদেশ আছে, যেমন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতকলে কোট পরতে পারবে, অন্য সময় যদি কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে, তাহলে হাফ স্লিভ শার্ট ও প্যান্ট পরতে পারবে। জুতা বা স্যান্ডেল পরতে পারবে। নারীদের কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। তারা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ যা পছন্দ পরতে পারবে। পোশাকের ব্যাপারে শালীন বা অশালীন কিছু বলা নাই। ”
তবে এক প্রশ্নের জবাবে অলিখিত এক নিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "তবে লুঙ্গি পরে অফিসে যাওয়া যাবে না। এটা অফিশিয়াল ড্রেস না। পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা যাবে। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীতে রেগুলেশনের মাধ্যমে ইউনিফর্ম নির্ধারণ করা আছে।”
‘পেছনে কারা আছে জেনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার'
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের কথায় উঠে আসে পোশাকের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকা এবং বিভিন্ন বাহিনী ও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক নির্ধারিত থাকার বিষয়টি৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের সংবিধান বা আইনে কোনো ড্রেস কোড নাই। জাতীয় পোশাকও নাই। তবে বিভিন্ন বাহিনী ও পেশার জন্য ইউনিফর্ম আছে। স্কুল- কলেজও শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফর্ম নির্ধারণ করে। তবে সেটার সাথে ড্রেসকোডের তুলনা চলে না। ইউনিফর্মের প্রয়োজনীয়তার ভিন্ন কারণ আছে।” কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশনা জারি এবং পরে তা প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন,"আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক ড্রেসকোডকে একটা উপায় হিসাবে ব্যবহার করে নারীদের বিরুদ্ধে, নারীর স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন তারা সেটা প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিলো আবার কেনই বা প্রত্যাহার করলো বিষয়গুলো দেখা দরকার। এর পেছনে কারা আছে তা-ও জানা দরকার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।”
প্রকাশ্যে হেনস্তার শিকার দুই নারীর অভিজ্ঞতা
গত মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক নারীকে তার পোশাকের কারণে হেনস্তা করায় ভুক্তভোগী নারী শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মোস্তফা আসিফ অর্ণবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে ‘তৌহিদী জনতা' থানা ঘেরাও করে। থানা থেকে রাতভর ফেসবুক লাইভ করেন তারা৷ পরের দিন আদালতে পাঠানোর পর অর্নব জামিন পান। জামিনে মুক্তির পর তাকে পাগড়ি, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়। এক পর্যায়ে ওই নারী মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় টিপ পরায় লতা সমাদ্দার নামের এক শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে হেনস্তা করেন এক পুলিশ সদস্য। খবরটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে৷ এক পর্যায়ে ঘটনা তদন্ত করে কন্সটেবল নাজমুল তারেককে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়৷
৩০ আগস্ট হারানো চাকরি ফিরে পেতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্ত্রী, সন্তান ও মা-কে নিয়ে অনশন করেন নাজমুল তারেক।
গত ১৭ এপ্রিল আদালতে মানহানির অভিযোগও করেন ড. লতা সমাদ্দার, তার স্বামী অধ্যাপক ড. মলয় মালাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক নজমুল তারেকের জবানবন্দি নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শেরেবাংলা নগর থানায় আবেদনটি পাঠিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেন। শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমাউল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন," মামলাটি করা হয়েছে আদালতে। আমরা আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছি। তদন্ত এখনো চলছে। শেষ হলে আমরা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেবো।”
আদালতে মামলার আবেদনের পর থেকে ড. লতা সমাদ্দার ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তার স্বামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "আমার স্ত্রী একটি কলেজের শিক্ষক। এখন তার পেশাগত দিকেও এর প্রভাব পড়ছে। তিনি এখন ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এখন আমরা পুরো পরিবারই নতুন করে চাপের মুখে পড়েছি।”
তিনি আরো বলেন, "২০২২ সালের ২ এপ্রিলের ঘটনার পর আমরা কোনো মামলা করিনি। সংবাদমাধ্যমসহ দেশের মানুষ বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হলে পুলিশ সদর দপ্তর তদন্ত করে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু এখন আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছি। সেটা কীভাবে করলাম বুঝতে পারছি না। কোর্ট যদি চাইতো তাহলে তাকে (নাজমুল তারেক) পুলিশ কোন বিধির বলে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে, কী অভিযোগে বাদ দিয়েছে সেটা তলব করে যাচাই করে দেখতে পারতো। সেটা যাচাই করলেই মামলার আবেদন খারিজ হয়ে যেতো। কিন্তু সেটা না করে থানাকে তদন্ত করতে দিয়েছেন। এখন আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছি।''
"আমি এবং আমার স্ত্রী- এই দুইজনকে ২০ জুলাই থানা থেকে ডাকা হয়েছিল। আমরা গিয়ে আমাদের জবানবন্দি দিয়ে এসেছি। থানার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তারা তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। এখন এই থানা পুলিশের ঝামেলা আমরা আর কত পোহাবো? এখন দ্বিতীয়বার ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আমার স্ত্রী। এদেশে তাহলে কেউ কি কথা বলতে পারবে না? প্রতিবাদ করতে পারবে না?,” বলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কন্সটেবল নাজমুল তারেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
‘পরিস্থিতি কতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়'
আইনজীবী ইশরাত হাসান মনে করেন, "বাংলাদেশে রাস্তা-ঘাটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর পোশাক নিয়ে একটি গ্রুপ সব সময় তৎপর। তারা শালীনতার কথা বলে। কিন্তু পুরুষের কি শালীনতা লাগে না! তারা রাস্তাঘাটে নারীকে তাদের পছন্দের পোশাক পরিয়ে দিতে চায়। ফেসবুকে কোনো ছবি দিলে মন্তব্য করে ধর্ম নিয়ে। বলে, ‘তাহলে আপনি ধর্ম ত্যাগ করে ওই ধর্মে যান।' আসলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেই এই পরিস্থিতি।”
বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু মনে করেন, "যে গোষ্ঠীটি এতদিন বাইরে থেকে নারীবিদ্বেষী কাজ করে আসছে সেই গোষ্ঠীটি যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও শক্তিশালী তার প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই নির্দেশ। তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) চাপে পড়ে প্রত্যাহার করেছে, কিন্তু কারা এটা করেছিল তা চিহ্নিত করা দরকার, তা না হলে আবারও এই ঘটনা ঘটবে।”
ডয়চে ভেলেকে তিনি আরো বলেন, "সমাজে একটি গোষ্ঠী পোশাকের নামে নারীকে ঘরে আটকে রাখতে চায়, তাদের স্বাধীনতা খর্ব করতে চায়। সেই গোষ্ঠীটি এখন সরকারেও প্রভাব বিস্তার করছে, যা আমাদের আতঙ্কিত করে।”
"নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীর অবমাননা বাড়ছে। নারীকে নানা দিক দিয়ে নিরাপত্তাহীন করা হচ্ছে। আর এই সহিংসতার জন্য আবার নারীর পোশাককেই দায়ী করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. স্নিগ্ধা রেজোয়ানা বলেন, "নারীর ব্যাপারে মোরাল পুলিশিং করা হচ্ছে। নারী কী পোশাক পরবে, সে কী করতে পারবে, কী করতে পারবে না তা বলে দিচ্ছে পুরুষতন্ত্র। এটা এখন বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত চলে গেছে। তাহলে পরিস্থিতি কতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়।”
"ইরান, সুদান, আফগানিস্তান আর সৌদি আরবের মতো আমাদের এখানেও এখন নারী কি করতে পারবে আর কি করতে পারবে না তা ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আসলে এটা এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলে গেছে৷ এখন নানাভাবে পাইলট টেস্টিং করা হচ্ছে, যেটা বাংলাদেশ ব্যাংকে হলো। তারা দেখতে চায় প্রতিক্রিয়া কী হয়। যদি প্রতিক্রিয়া না হতো বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীর পোশাকের নির্দেশনা চালু হয়ে যেতো। একইভাবে সারাদেশে চালুর চেষ্টা চলতো। একটি গোষ্ঠী এটা নিয়ে কাজ করছে।”