নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
১৮ মার্চ ২০০৯নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে৷ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সংসদ ভবন, সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়৷ বিশেষ করে কূটনৈতিক পল্লী ও পাঁচ তারা হোটেলে বসানো হয়েছে কঠোর নজরদারি৷ সারাদেশের আইন শৃংখলাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে৷
বিডিআর বিদ্রোহের পর গোয়েন্দা রিপোর্টে দেশে বড় ধরণের হামলার আশংকা করা হয়েছে৷ দেশের এই নিরাপত্তা ঝুঁকির জন্য বিশ্লেষকরা জঙ্গি দের দায়ি করেছেন৷ নিরাপত্তা ও সামরিক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) এম এ রশীদ বলেন, জঙ্গিরা এখন নানা কৌশলে কাজ করছে৷ তাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যার্থ করা৷ তিনি জানান, জঙ্গিরা প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশ করেছে৷
সেন্টার ফর পিস এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান মনে করেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর পলাতক বিডিআর জওয়ানরা জঙ্গিদের দলে ভিড়েছে৷ আর কাজ করছে সুযোগ সন্ধানীরা৷
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে জামায়াত নেতা মুজাহিদের আমলে অনুমোদন পাওয়া এনজিওগুলো জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে৷
অন্যদিকে, দেশের এই নিরাপত্তা ঝুঁকিকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন৷ তিনি বলেছেন, এই সরকার রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ৷
লেখক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক