নিউজক্লিকের সম্পাদককে মুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
১৫ মে ২০২৪সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, নিউজক্লিকের সম্পাদককে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা আইনের চোখে অবৈধ।
বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ জানিয়েছে, ''রিমান্ড কপি দেয়া হয়নি। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তা প্রবীর পুরকায়স্থ বা তার আইনজীবীকে জানানো হয়নি। তাই আইনের চোখে গ্রেপ্তারি বৈধ নয়।''
বিচারপতি মেহতা বলেছেন, ''আদালতের মনে এই বিষয়ে কোনো দ্বিধা নেই যে, কী ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা জানানো হয়নি। তাই আবেদনকারীকে মুক্তি দিতে হবে। রিম্যান্ডের নির্দেশ বেআইনি।''
সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ''পঙ্কজ বনসল মামলার রায়ে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে, কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তা লিখিতভাবে অভিযুক্তকে জানাতেই হবে।''
অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এস ভি রাজু আদালতে জানান, ''এই গ্রেপ্তারিকে অকার্যকর বলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তো ভুল শুধরে নিতে পারে।''
বিচারপতি গাভাই জানান, ''আইনানুযায়ী কাজ করার অধিকার পুলিশের আছে।''
প্রবীর পুরকায়স্থকে গত ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, চীনের প্রচার করার জন্য নিউজক্লিক অর্থ পেয়েছে। তারপরই পুরকায়স্থকে সন্ত্রাস-বিরেোধী আইন ও বেআইনি কার্যকলাপ(রোধ) আইন অনুসারে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল বিচারপতিরা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন পুরকায়স্থকে তড়িঘড়ি করে গ্রেপ্তার করা হলো? কেন তার আইনজীবীকেও জানানো হলো না?
প্রবীর পুরকায়স্থর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, ৩ অক্টোবর প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন সকাল ছয়টায় তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়। তখন সরকারি আইনজীবী ও লিগাল এইডের আইনজীবী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। নিউজক্লিকের সম্পাদকের আইনজীবীকে জানানো পর্যন্ত হয়নি। প্রবীর পুরকায়স্থ আপত্তি জানালে তদন্তকারী অফিসার টেলিফোনে আইনজীবীকে বিষয়টি জানান।
জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)