না পালালে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিত: মণিপুরী উদ্বাস্তু
মণিপুর থেকে পালিয়ে আসামে উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। তাদের সঙ্গে কথা বলেছে ডিডাব্লিউ।
অভিশপ্ত রাত
৫ মে এখনো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে তাদের। হামলাকারীরা এসে একের পর এক ঘরে আগুন লাগাতে থাকে। ঘরের ভিতর এই মানুষগুলিকেও পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে কোনোক্রমে পালিয়েছেন তারা।
সারা রাত পাহাড়ি রাস্তায়
গোটা রাত পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসামের কাছাড় জেলায় পৌঁছেছেন এই উদ্বাস্তুরা। জীবন ছাড়া আর সব পুড়ে গেছে তাদের।
সব মিলিয়ে আটটি ক্যাম্প
কাছাড় জেলার লখিপুরে আটটি ক্যাম্পে প্রায় আড়াই হাজার উদ্বাস্তু বসবাস করছেন। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কয়েকটি ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। বহু উদ্বাস্তু মিজোরামেও গেছেন। সেখানেও এমনই আরো ক্যাম্প তৈরি হয়েছে।
কারা করল এমন!
কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা জানলেও প্রকাশ্যে বলতে চাইছেন না উদ্বাস্তুরা। বার বার একটাই কথা বলছেন, ঘরবাড়ি, চার্চ সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নদী পথে পলায়ন
নদী পথেও অনেকে পালিয়েছেন। পালানোর সময় তাদের ক্যামেরাতেই উঠেছে এমন ছবি।
পুলিশি প্রহরা
ক্যাম্পগুলিতে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষেরাও মণিপুরী উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বলেছেন, প্রায় তিরিশ হাজার উদ্বাস্তু রাজ্য ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। দ্রুত তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা হবে।
ফিরতে ভয়
উদ্বাস্তুরা বলছেন, বউ-বাচ্চা নিয়ে গ্রামে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন তারা। মৃত্যুর মুখ থেকে তারা ফিরে এসেছেন। আবার সেই ভয়াবহ রাত ফিরে আসবে না তো!