নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের নির্দেশ অসাংবিধানিক, বললো আদালত
২৪ জানুয়ারি ২০২৫প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার নেয়ার পরই প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে ট্রাম্প বলেছিলেন, অ্যামেরিকায় জন্মালেই সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে, এই নিয়ম আর থাকবে না। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়। ২২টি রাজ্য ও একাধিক অভিবাসী অধিকার রক্ষা গোষ্ঠীর তরফ থেকে মামলা করা হয়।
এমনই একটি মামলায় সিয়াটেলের ডিস্ট্রিক্ট জজ সি কফেনর রায় দিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প যে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করেছেন, তা 'পুরোপুরি অসাংবিধানিক'।
বিচার বিভাগের আইনজীবীকে তিনি বলেছেন, ''আমি এটা বুঝতে পারছি না, আইনজীবী হয়ে কী করে আপনি বলতে পারেন, এই নির্দেশ সাংবিধানিক। এটা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি।''
মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সেদেশে কেউ জন্মালেই সে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে।
বিচার বিভাগের আইনজীবীর মত ছিল, ট্রাম্প দেশের ভিতর অভিবাসী সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ সীমান্তে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে চাইছেন। এই নির্দেশ তারই অঙ্গ।
প্রশাসনিক নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর যারা অ্যামেরিকার নাগরিক নন, তাদের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে হলেও সেই বাচ্চা নাগরিকত্ব পাবে না। সে কোনো সামাজিক সুরক্ষা বা সরকারি সুবিধা পাবে না।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, সরকার এই রুলিংয়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে।
পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প
দাভোসে রাজনৈতিক ও বাণিজ্য জগতের নেতাদের ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান। ট্রাম্প বলেছেন, ''আমি আর্থিক বা অন্য কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে এই বৈঠক করতে চাইছি না, আমি চাইছি, যুদ্ধের ফলে যে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা বন্ধ হোক।''
ট্রাম্প বলেছেন, ''আমি আশা করি, চীনও এই যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্য়োগী হবে। তাদেরও এই ক্ষমতা আছে।''
ইইউ-র সমালোচনা
দাভোসের ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, ''ইইউ দেশগুলি নানান ধরনের বিধিনিষেধ বহাল রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি কিছু জিনিস আমদানি করতে চায়, তাহলে তাদের চড়া হারে কর দিতে হয়।''
ট্রাম্পের দাবি, অ্যামেরিকার সঙ্গে ২৭ দেশের ব্লক ইইউ খুব খারাপ ব্যবহার করছে, অন্যায় আচরণ করছে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ইইউ-র সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি তিনি মেনে নেবেন না। তার অভিযোগ, ইইউ-র দেশগুলি অ্যামেরিকার গাড়ি ও কৃষিপণ্য কিনতে চায় না।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউরোপকে ভালোবাসেন, তাই গঠনমূলক নীতি নিতে চান। তাদেরও অ্যামেরিকার প্রতি ন্যায্য মনোভাব দেখাতে হবে।
এছাড়া ট্রাম্প সৌদি আরব এবং তেল উৎপাদক দেশগুলিকে অশোধিত তেলের দাম কমাতে বলেছেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)