নতুন বছরে পশ্চিমবঙ্গের উপহার বন্দে ভারত, জোকা মেট্রো

৩০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হচ্ছে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সপ্তাহে ছয়দিন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচল করবে দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত।

হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির রেলপথে দূরত্ব ৫৫৬ কিলোমিটার। শতাব্দী এক্সপ্রেসে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে ৮ ঘণ্টা ২০ মিনিট। বন্দে ভারত সেই দূরত্ব আরও কিছুটা কমিয়ে আনবে বলে রেলের দাবি।

খাতায় কলমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮০ কিলোমিটার। কিন্তু হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের সীমা পেরোবে না। যাত্রা শেষে গড় গতিবেগ গিয়ে ঠেকবে ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটারে। ট্রেনে থাকছে ‘এমার্জেন্সি পুশ টু টক’ ব্যবস্থা। যা দিয়ে যাত্রী আপৎকালীন প্রয়োজনে চালকের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।

এই ট্রেনের কামরা তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরি। ভিস্তার মতো কামরার মাথায় কাচের আবরণ না থাকলেও জানলাগুলি বড়, কাচগুলোও টানা। এগজিকিউটিভ ক্লাসের চেয়ার ১৮০ ডিগ্রি ঘোরানো যাবে, ফলে এই ট্রেনে দু’পাশের দৃশ্য আরও ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।

ট্রেনের টয়লেট নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সেই কথা মাথায় রেখে সুসজ্জিত আধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে। যাত্রীরা আসনে বসেই জানতে পারবেন টয়লেট ফাঁকা আছে কি না।

রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন এটি। তবে সারা দেশের হিসাবে বাংলারটি ষষ্ঠ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রী নিরাপত্তায় আরও বেশি জোর দিতে ট্রেনে থাকছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

একই দিনে উদ্বোধন করা হচ্ছে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো রেল পরিষেবা। জোকা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রো লাইনের (পার্পল লাইন) কাজ বহুকাল ধরে চলায় বেহালাবাসী কিছুটা বিরক্তও ছিলেন। এই রুট আংশিক চালু হলে যানজট অনেকটাই কমবে বলে সাধারণ মানুষের আশা।

জোকা থেকে তারাতলার দূরত্ব ছয় দশমিক পাঁচ কিলোমিটার। জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা – এই ছ’টি স্টেশন পড়বে এই রুটে। স্বাভাবিক গতিতে মেট্রো ছুটলে জোকা থেকে তারাতলা যেতে লাগবে ১৮ থেকে ১৯ মিনিট। আপাতত 'ওয়ান ট্রেন সিস্টেম'-এই চলবে এই রুট। অর্থাৎ জোকা থেকে একটি মেট্রো ছাড়বে। তা তারাতলা হয়ে ফের জোকায় ফিরবে।