দ্বিধায় ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট: প্রতিবেদন
১২ জুলাই ২০২৫প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের পরপরই বিমানের ‘ফুয়েল-কন্ট্রোল সুইচ' (জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সুইচ) হঠাৎ ‘কাট-অফ' পজিশনে চলে যায় অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যে কারণে বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানি একেবারেই পৌঁছেনি।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিমানটির দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
এদিকে তদন্তে বিমানের দুই পাইলটের মধ্যে কথোপকথনে স্পষ্ট দ্বিধার ইঙ্গিত মিলেছে৷ পাইলটদের একজন অপরজনকে জিজ্ঞেস করছিলেন, কেন তিনি সুইচ বন্ধ করে দিয়েছেন৷ উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি তা করেনি৷
১২ই জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়৷ এই ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই নিহত হন।
ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে একজন পাইলট তার সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করছেন কেন তিনি ওই ‘সুইচ কাট অফ' করেছেন৷ উত্তরে ওই পাইলট জানান, তিনি এটি করেননি৷ এক পর্যায়ে ককপিট থেকে মে ডে, মে ডে, মে ডে ঘোষণাও রেকর্ড থেকে শোনা যায়৷
তবে কোন কথাটি কার অর্থাৎ কোনটি ফ্লাইট ক্যাপ্টেইনের এবং কোনটি ফার্স্ট অফিসারের বক্তব্য তার বিস্তারিত জানা যায়নি৷
আরআর/এসিবি (রয়টার্স)