দেশে দেশে ইসরায়েলি নিরাপত্তা প্রযুক্তি
২০ জানুয়ারি ২০১০নিরাপত্তা নিয়ে ইসরায়েল'এর উদ্বেগ দীর্ঘদিনের৷ আর এই উদ্বেগের কারণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দিকে তার সবিশেষ নজর৷ ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ছড়িয়ে আছেন সারা বিশ্বেই৷ দেশের সেনা বাহিনী আর গোয়েন্দা সার্ভিসে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তাঁরা৷ বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকায়, বিমানবন্দরে বিশেষ চাহিদা আছে তাঁদের প্রযুক্তিজ্ঞানের৷ সেই চাহিদা তাঁরা পূরণ করছেন সাফল্যের সঙ্গে৷ আমস্টারডামের বিমানবন্দরেও যাত্রীদের চেক করার দায়িত্ব পালন করছে একটি ইসরায়েলি কোম্পানি৷
ইসরায়েলি মানবাধিকারবাদী জেফ হালপার মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের মোকাবিলা করতে গিয়েই ইসরায়েল তার নিরাপত্তা কৌশল ও পদ্ধতিগুলো গড়ে তুলেছে৷ এমনকি গাজা ভূখন্ডে এক বছর আগের হামলাও ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধচালনার এক ল্যাবরেটরি হিসেবে কাজ করে বলে তিনি জানান৷ হালপার বলেন, একজন ইসরায়েলি সেনা অফিসার ঐ অভিযানকে এক সামরিক মহড়া বলে উল্লেখ করেছিলেন৷
জেফ হালপার বলেন, ‘‘ইসরায়েল রপ্তানি করছে দখলদারি৷ অর্থাৎ সে সরবরাহ করছে পরিষেবা, তার প্রযুক্তি, তার কৌশল এবং অস্ত্রশস্ত্র৷ এগুলো যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ইউরোপে এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার স্বৈরশাসক ও যুদ্ধবাজদের কাছেও৷ মিয়ানমার, চীন, জর্জিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ও কলাম্বিয়ায় ইসরায়েল বেশ ভালভাবেই সংশ্লিষ্ট৷''
জেফ হালপার হলেন বাসগৃহ ধ্বংসের বিরোধিতাকারী ইসরায়েলি কমিটির সভাপতি৷ জার্মানির ফ্রাইবুর্গ শহরের কান্ট ফাউন্ডেশনের বিশ্ব নাগরিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি৷ বার্লিনের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ফিলিস্তিনিরা হল ইসরায়েলি নিরাপত্তা প্রযুক্তি পরীক্ষা করার মাধ্যম৷ যে অস্ত্র আর নিরাপত্তা প্রযুক্তি ইসরায়েল সাফল্যের সঙ্গে রপ্তানি করে থাকে, তার পরীক্ষা হয়ে যায় ফিলিস্তিনিদের ওপর, বলেন হালপার৷
হালপারের অভিযোগ, ইসরায়েলের এই সব কর্মকান্ডের ওপর কোন আন্তর্জাতিক তদারকি নেই৷ ফলে তার নিরাপত্তা প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ইসরায়েলি বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তার অত্যন্ত উঁচু মান সর্বত্র প্রশংসিত৷ তার বেন গুরিয়ন বিমান বন্দরে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের ও চেক করার পদ্ধতি বহু জায়গায় গ্রহণ করা হয়েছে৷ মানবাধিকারবাদী জেফ হালপারের আশংকা, এই পদ্ধতিতে সন্ত্রাসীদেরই শুধু চিহ্নিত করা হবে তা নয়, রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট ও মানবাধিকারবাদীদেরও বেছে বেছে আলাদা করা হতে পারে৷
প্রতিবেদক : বেটিনে মার্ক্স, ভাষান্তর : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ