দুর্নীতি ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি বিরোধী জোটের
২২ ডিসেম্বর ২০১০আজ নতুনদিল্লিতে এক বিশাল সমাবেশে বিজেপি নেতৃত্ব টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে মনমোহন সিং সরকারের সমালোচনায় উচ্চকন্ঠ হলো৷ টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি নিয়ে বিরোধী পক্ষ সংসদের গোটা শীতকালীব অধিবেশন অচল করে রাখার পর এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে পথে নামলো৷
সমাবেশে বিজেপির শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি বলেন, হয় প্রধানমন্ত্রীকে যৌথসংসদীয় কমিটি জেপিসি গঠনে রাজি হতে হবে, নাহয় নৈতিক কারণে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে৷ কারণ একমাত্র জেপিসিই পারে টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির ন্যায়বিচার করতে৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেকে এই দুর্নীতির বাইরে রাখতে চাইছেন৷ তা তিনি পারেন না৷ যদি চান তাহলে জেপিসির সামনে এসে দাঁড়ান৷ প্রশ্নের জবাব দিন৷ বলুন কেন ২০০৮ সালে বাজার দামের নীচে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন করা হয় ? বলতে না পারলে নৈতিক কারণে ইস্তফা দিন৷ দাবি এই বিজেপি নেতার৷ অরুণ জেটলির অভিযোগ, কংগ্রেস সরকার, কর্পোরেট হাউস ও লবিস্টরা মিলে মন্ত্রীদের দপ্তর বন্টনের সিদ্ধান্ত নেয়৷ সংসদ অচল করে না রাখলে এ.রাজা টেলিকম মন্ত্রী পদেই থাকতেন৷
অনুরূপ অভিযোগ বিজেপির সংসদীয় নেত্রী সুষমা স্বরাজের৷ তিনি বলেন, ‘‘রাডিয়া টেপ ফাঁস হবার পর এটা শুধু আর দুর্নীতির ইস্যু নয়, তার থেকেও আরো ব্যাপক৷ রাডিয়া টেপে আছে কীভাবে শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ ও অন্যান্যরা রাজাকে টেলিকম মন্ত্রী করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর নাকের ডগায় এত বড় দুর্নীতি হওয়াতে উনিও সেই অপরাধের ভাগি৷ যদি লুকোবার কিছু না থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী জেপিসি তদন্তে ভয় পাচ্ছেন কেন ? ভয়টা কী তাহলে দুর্নীতির আরো কঙ্কাল বেরিয়ে পড়বে বলে ?'' হালে কংগ্রেসের মহা অধিবেশনের প্রতি ইঙ্গিত করে বিজেপি নেত্রী বলেন, যে কংগ্রেস সরকার দুর্নীতি আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দেশকে ডোবাতে বসেছে তাদের মুখে দুর্নীতি রোধের ভাষণ শোভা পায়না৷
বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ২০১০ সালকে কেলেঙ্কারি- বর্ষ রূপে চিহ্নিত করে সমগ্র দেশের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি মেনে নিয়ে কমিটির সামনে এসে যেন তাঁর বক্তব্য রাখেন৷ তাহলে বিরোধী জোট তাদের দুমাস ব্যাপী এই অভিযান বন্ধ রাখবে৷ উল্লেখ্য, এই অভিযান যে ১১টি রাজ্যে চালানো হবে তারমধ্যে বিজেপি শাসিত কর্নাটক নেই৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক