দুই ব্রিটিশ এমপিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠালো ইসরায়েল
৭ এপ্রিল ২০২৫ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই এমপি আবতিসাম মোহামেদ এবং ইউয়ান ইয়াং ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু বিমানবন্দরে তাদরকে আটকে দেওয়া হয়৷ এরপর বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত যান তারা৷
যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইসরায়েলের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই দুই এমপির ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ড উসকে দিতে পারেন- এমন শঙ্কা ছিল৷
লন্ডনে ফেরার পর এক বিবৃতিতে এই দুই নারী এমপি বলেন, ‘‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দুই ব্রিটিশ এমপিকে পশ্চিম তীর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত৷'' বিবৃতিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে পারা সংসদ সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূণ৷
ক্ষতি করার পরিকল্পনা ছিল: দূতাবাস
লন্ডনস্থ ইসরায়েলি দূতাবাসের দাবি, বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো দুই এমপি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন৷ এবং তারা ইসরায়েলের মন্ত্রীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন৷ ইসরায়েল রাষ্ট্রকে বর্জন করার ক্যাম্পেইনও করছিলেন তারা৷
তবে এমপির দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার গুরুত্বের বিষয়ে কথা বলেছিলেন৷ তারা বলেন, ‘‘লক্ষ্যে পরিণত হয়ে পড়ার ভয় ছাড়াই সাংসদদের সত্য বলতে পারার সামর্থ্য থাকা উচিত৷''
ঘটনার সমালোচনা করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, সাংসদদের সঙ্গে যেমন আচরণ করতে হয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দুই ব্রিটিশ এমপির সঙ্গে তেমন আচরণ করেনি৷ এ ঘটনার নিন্দাও জানান তিনি৷
উল্লেখ্য, উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের ইসরায়েলে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়৷ তার আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এবং ইউএস কংগ্রেসের সদস্যরাও ইসরায়েলের বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়েছিলেন৷ সম্প্রতি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসকে ইসরায়েলে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা', অর্থাৎ অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং ইসরায়েলে তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে৷
গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে গুতেরেস যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, তার জেরেই জাতিসংঘ মহাসচিবকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা' ঘোষণা করে ইসরায়েল৷
আরআর/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)