দিল্লিতে বাঙালি বউয়ের হাতে শাশুড়ি খুনের অভিযোগ
১০ মে ২০২৩পুলিশ জানিয়েছে, তাদের এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, তার বন্ধুর মা রান্নাঘরে পড়ে গিয়েছেন। তিনি রক্তাক্ত। পুলিশ তখন নেব সরাইয়ের স্বস্তিক রেসিডেন্সির ওই ফ্ল্য়াটে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবার কলকাতা থেকে দিল্লিতে এসেছিল ২০১৪ সালে। তখন থেকেই তারা ওখানে থাকে। ২০২২-এর মার্চে মাকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন সুরজিৎ সোম। তার ফ্ল্য়াটের উল্টোদিকের ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানেই তিনি মাকে রাখেন। ৮৬ বছর বয়সি মা বাতের ব্যথায় ভুগছিলেন। তার হাঁটতে অসুবিধা হতো।
পুলিশ ওই ফ্ল্য়াটের বেডরুমে সিসিটিভি ক্য়ামেরা পায়। কিন্তু তাতে মেমারি কার্ড ছিল না। তারা সেটা বাজেয়াপ্ত করে। সুরজিৎ পুলিশকে জানায়, সেসময় বিদ্যুৎ ছিল না বলে কম্পিউটারেও কিছু রেকর্ড করা যায়নি।
পুলিশ তারপর দেহ এইমসে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জিসিপি চন্দন চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসকেরা জানান, বৃদ্ধার দেহে যে আঘাত রয়েছে, তা পড়ে গিয়ে হতে পারে না। এই ঘটনার তদন্ত করা দরকার।
এরপর পুলিশের কাছে সুরজিৎ স্বীকার করে, সে সিসিটিভি ক্যামেরার মেমারি কার্ড সরিয়ে দিয়েছে। কারণ, সেখানে ছবি আছে, তার বউ ফ্রাইং প্যান হাতে ফ্ল্যাটে ঢুকে শোয়ার ঘর থেকে শাশুড়িকে টেনে রান্নাঘরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর বৃদ্ধার চিৎকারও শোনা যাচ্ছে। ঘটনার সময় সুরজিৎ বা তার মেয়ে বাড়িতে ছিল না। পরে সুরজিৎ সিসিটিভি ফুটেজে ওই ঘটনা দেখে।
পুলিশের দাবি, সুরজিতের মেয়ে জানিয়েছে, তার মায়ের সঙ্গে ঠাকুমার সম্পর্ক ভালো ছিল না। একই কথা সুরজিতও বলেছে। পুলিশ মনে করছে, দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধার সেবা করতে করতে হতাশায় হয়তো পুত্রবধূ এই কাজ করে ফেলেছে ।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)