তিহারকেই ঘর-বাড়ি ভাবতে হবে অনুব্রতকে: ইডি
২ মে ২০২৩সোমবার তার জেলের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তাই দিল্লির আদালতে এদিন পেশ করা হয়েছিল গরুপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার পশ্চিমবঙ্গের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিক অনুব্রত মণ্ডলকে। আদালতের কাছে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন অনুব্রত। তার আবেদন, আসানসোলের জেলে ফিরে যেতে চান। আগামী ৪মে আদালত সে বিষয়ে রায় জানাতে পারে, তার আগে দিল্লির তিহার জেলেই থাকতে হবে তাকে।
এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী অবশ্য অনুব্রতের আর্জির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। একসময় তিনি বলেন, আগামী তিন-চার বছর তিহার জেলকেই ঘর-বাড়ি ভাবতে হবে অনুব্রতকে। আপাতত তারা তাকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরত পাঠাবেন না। কারণ, একবার আসানসোল জেলে ফিরে গেলে সেখান থেকে ফের তাকে দিল্লিতে আনতে অন্তত ছয়মাস সময় লেগে যাবে। বস্তুত, দিল্লিতে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনুব্রতকে। সম্প্রতি তার মেয়েকেও গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তাকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিহার জেলে। অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গলও তিহার জেলে আটক।
জেলসূত্র জানিয়েছে, তিহারে পৌঁছে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তার মেয়ে সুকন্যা। সায়গলের সঙ্গেও তার কথা হয়েছে। এদিন আদালতে অনুব্রত বলেছেন, তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করা অন্যায় হয়েছে।
অন্যদিকে ইডি-র বক্তব্য, আসানসোলের জেলে অনুব্রতকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। সে কারণেই, তাকে আসানসোলে ফিরত পাঠাতে চায় না তারা। বস্তুত, দিল্লিতে তদন্তে সুবিধা হচ্ছে বলে আদালতকে জানিয়েছে ইডি।
তিহারে খুন
দিল্লির রোহিনী আদালতে হামলা চালানোর দায়ে ধৃত তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মান তিহারে থুন হয়েছেন। বিরোধী অপরাধী গ্যাংয়ের লোকেরা লোহার রড মেরে খুন করে বলে অভিযোগ। রোহিনী আদালতে ওই হামলায় ডন জিতেন্দ্র গোগি মারা গেছিলেন। তিল্লুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)