ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৩১
২২ জুলাই ২০২৫নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে এখন ৭৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এখনো পর্যন্ত ২০টি মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, রক্তদান করার জন্য পর্যাপ্ত ডোনার আছে। নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দরকার। তার অনুরোধ, মানুষ যেন হাসপাতালে ভিড় না করেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।
তাদের দেওয়া পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, মোট ১০টি হাসপাতালে এ ঘটনায় আহত ১৬৫ জনকে নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত আটজন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬ জন, ঢাকা মেডিকেলে তিনজন, সিএমএইচ-ঢাকায় ২৮ জন, লুবনা হাসপাতালে ১৩ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৬০ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে একজন, ইউনাইটেড হাসপাতালে দুইজন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনজনকে নেওয়া হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সোমবার বেলা একটা ছয় মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। বেলা একটা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত
সোমবার দিবাগত রাতে তথ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। রাত পৌনে তিনটার দিকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হয়েছে। মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
বিমান দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবারের এএচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
জাতিসংঘ, ইইউসহ বিভিন্ন দেশের শোকবার্তা
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এছাড়া, ভারত, পাকিস্তান ও জাপানের পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বার্তায় লিখেছেন, ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার ফলে অনেক শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোয় তিনি শোকস্তব্ধ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশন এক্স-এ পোস্টে করে জানিয়েছে, তারা নিহত ও তাদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে আছেন।
জিএইচ/এসসি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, দ্য ডেইলি স্টার)