ডার্বি ও ডুরান্ড জিতলো মোহনবাগান
এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো ফুটবল প্রতিযোগিতা হলো ডুরান্ড কাপ। ইস্টবেঙ্গলকে এক গোলে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।
ফাইনালে ডার্বি জয় বাগানের
ডুরান্ড ফাইনালে ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ম্য়াচ। ১৯ বছর পর আবার ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নেমেছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। গ্রুপ পর্যায়ে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে এক গোলে হারিয়েছিল। ফাইনালে তার মধুর প্রতিশোধ নিয়ে মোহনবাগান এক গোলে হারালো ইস্টবেঙ্গলকে। আবার ডুরান্ড জিতলো সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল
ম্যাচের একমাত্র গোল করেন মোহনবাগানের দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রতি আক্রমণ থেকে বল ধরে অনেকটা দৌড়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করে যান দিমিত্রি।
দশজনে মোহনবাগান
ষাট মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ফুটবলার সিভেরিওকে মারাত্মক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। ফলে মোহনবাগানকে বাকি সময় দশ জনে খেলতে হয়। সেখান থেকে তাদের জয় বাড়তি কৃতিত্বের।
হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি
মোহনবাগানের হুগো বুমোস ও ইস্টবেঙ্গলের বোহরা হেরেরা হলুদ কার্ড দেখেন। মোহনবাগানের আশিস রাইকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ ডিমাস ডেলগাডো লাল কার্ড দেখেন। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কুয়াদ্রাতও হলুদ কার্ড দেখেন।
গোল করেই রক্ষণে
গোল করার পরই রক্ষণকে আরো মজবুত করেন মোহনবাগানের কোচ ফেরান্দো। তিনি ব্র্যান্ডন হামিলকে নামান। সব ফুটবলার বক্সে চলে আসেন। ফলে ইস্টবেঙ্গল গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
সুযোগ পেয়েও
ইস্টবেঙ্গল গোল করার প্রচুর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। তারা গোল করতে না পারায় দল জিততে পারেনি।
অনবদ্য বিশাল কাইথ
মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। গোল্ডেন গ্লাভস পেয়েছেন তিনিই। পেয়েছেন চার লাখ টাকাও।
সেরা ফুটবলার নন্দকুমার
ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার সেকর প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন চার লাখ টাকা।
মোহনবাগান পেল ৬০ লাখ
চ্যাম্পিয়ন হয়ে মোহনবাগান পেয়েছে ৬০ লাখ টাকা। রানার্স ইস্টবেঙ্গল পেয়েছে ৩০ লাখ। মোট এক কোটি দুই লাখ টাকার পুরস্কার দিয়েছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ।
মোহনবাগান কোচ যা বললেন
মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো বলেছেন, গোটা প্রতিযোগিতায় কঠিন দলের বিরুদ্ধে খেলে জিতেছি। মুম্বই সিটি, এফসি গোয়া, ইস্টবেঙ্গল--কারো বিরুদ্ধে জয় সহজে আসেনি। কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে। এটা ছিল প্রাক মরসুম প্রস্তুতি। ফুটবলাররা চাপের মুখে সেরা খেলাটা খেলেছে। তবে আরো উন্নতি করতে হবে।
ইস্টবেঙ্গল কোচের বক্তব্য
ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কুয়াদ্রাত বলেছেন, এই প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি। এত দিন পর একটা প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পেরেছি। এটাও গর্বের ব্যাপার। সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে। আরো অনেক কাজ করতে হবে। এই হারের থেকে ভবিয্যতে শিখতে হবে।