টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারালো ভারত
২৪ নভেম্বর ২০২৩রোহিত, বিরাট, কেএল, শ্রেয়স, শামি, বুমরাহরা পারেননি বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের হারিয়ে দিল তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত ভারতীয় দল।
নতুন অধিনায়ক, নতুন কোচ, টিমে অধিকাংশ নতুন প্লেয়ার, অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় টিমের বিরুদ্ধে প্রথম খেলছে, তাদের নিয়েই বাজিমাত করলো ভারত। সেটাও করলো রেকর্ড রান তাড়া করে।
ভারতের নির্বাচকরা একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হার্দিকের চোট এখনো না সারায় তারা অধিনায়ক করে দেন সূর্যকুমার যাদবকে। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে সূর্য তেমন কোনো ছাপ রাখতে পারেননি। তারপরেও তার উপরই ভরসা রাখেন নির্বাচকরা।
সূর্যও বুঝিয়ে দিলেন, যোগ্য পাত্রেই ভরসা রেখেছেন নির্বাচকরা। অধিনায়ক হিসাবে প্রথম ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস যখন চলছে, তখন একবারের জন্যও উত্তেজিত হতে দেখা গেল না তাকে। স্মিথ ও ইংলিস যখন বেধড়ক মারছেন, তখনো তার মুখে হাসি। বোলাররা এক ওভারে ১৬-১৮ রান দিলেও তাদের বকাবকি নয়। বরং হেসে অভয় দিয়েছেন সূর্য। একটা 'ডোন্ট কেয়ার' ভাব নিয়ে চলাফেরা করেছেন।
তারপর ভারতের ইনিংসে যখন দুই উইকেট খুব তাড়াতাড়ি পড়ে গেল, তখন ইশান কিসানকে নিয়ে জুটি বেঁধে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ছত্রখান করেছেন। চার ও ছয়ের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। ৪২ বলে ৮০ রান করেছেন তিনি। এজন্যই তো তাকে টি-টোয়েন্টির আদর্শ প্লেয়ার বলা হয়। তার মধ্যে নয়টি চার ও চারটি ছয় ছিল। ৩৯ বলে ৫৮ রান করেছেন ইশান কিসান। তিনি মেরেছেন পাঁচটি ছয়।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ইংলিস ৫০ বলে ১১০ রান করেন। স্টিভ স্মিথ করেন ৪১ বলে ৫১ রান। এই দুজনের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২০৮ রান করে।
ইনিংসের শুরুতেই ভারত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। রান আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি কোনো রান করতে পারেননি। যশস্বী জয়সওয়াল পিটিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু তিনিও আট বলে ২১ন রান করে ফিরে যান।
এই সময় হাল ধরেন সূর্য এবং ইশান। কিন্তু তারা দুজনে সেট হয়ে যাওয়ার পরেও আউট হয়ে যান। তখন সেই চাপটা সামলান রিংকু সিং। আইপিএলে এরকম পরিস্থিতিতে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের অযথা বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন। এই সময় সূর্যকে ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। শেষ ওভারে রবি বিষ্ণোই ও আর্শদীপ সিং রান আউট হন। খেলায় তখন ভয়ংকর উত্তেজনা। দুই বল বাকি, দুই রান বাকি।
শেষ বলে এক রান করতে হতো। এই অবস্থায় শেষ বলে ছয় মারেন রিংকু। তবে সেই ছয়ের দরকারও হয়নি। কারণ, অ্যাবট নো বল করেছিলেন। ফলে ভারত জিতে যায়। ওই ছয় রিংকুর স্কোরে যুক্তও হয়নি।
পরে সূর্য বলছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন, এই পিচে অস্ট্রেলিয়া ২৩৫ রান পর্যন্ত করতে পারে। কিন্তু মুকেশ কুমার শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রান দেন। বোলাররা শেষের দিকে ভালো বল করেছেন। আর টিমের সদস্যদের প্রতি তার বার্তা ছিল, আনন্দ করে খেল। খেলাটা এনজয় কর।
পাঁচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত জিতেছে। পরের খেলা ২৬ তারিখে।
জিএইচ/এসজি (স্টার স্পোর্টস)