জার্মান প্রেসিডেন্ট Horst Koehler-এর আফ্রিকা সফর
১৬ ডিসেম্বর ২০০৪জার্মান প্রেসিডেন্ট Horst Koehler গতকাল তাঁর দশদিনের আফ্রিকা সফর শেষ করলেন জিবুতি দিয়ে৷ সেখানে আফ্রিকা শৃঙ্গে মোতায়েনরত জার্মান সৈন্যদের সঙ্গে মিলিত হলেন তিনি৷ এর আগে জার্মান প্রেসিডেন্ট তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করেন জিবুতির প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়া দিয়ে৷ সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান Enduring Freedom- এর আওতায় জার্মান সৈন্যরা মোতায়েনরত কৌশলগত ঐ গুরুত্বপুর্ণ স্থানে৷
Mecklenburg Vorpommern নামক জাহাজে জার্মান প্রেসিডেন্ট Horst Koehler বলেন, জিবুতিতে মোতায়েনরত সৈন্যরা জার্মানিতে আমাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা প্রতিরক্ষা করছে৷ শুধু তাই নয় আমাদের মিত্রদেরও৷ ক্যোলার বলেন, জার্মান সৈন্যরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আফ্রিকার ঐ অন্চলের দেশগুলোতে স্থিতিশীলতা অর্জনে এক বিরাট অবদান রাখছে৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট জাহাজের একটি মহড়া পর্যবেক্ষণ করেন এবং জাহাজের ক্রুদের মাঝে বইপত্র, সিডি এবং ভিডিও বিতরণ করেন বড়দিনের উপহার হিসেবে৷ জাহাজটি ঘুরেফিরে দেখার সময় ক্যোলার-এর সঙ্গে ছিলেন জার্মান সামরিক বাহিনীর ইন্সপেক্টর জেনারেল জেনারেল Wolfgang Schneiderhanও৷
জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্যোলার তাঁর আফ্রিকা সফর থেকে ফেরার পথে জিবুতিতে যাত্রাবিরতি ঘটালেন ৷ তাঁর পূর্বসুরী Johannes Rau-এর জিবুতি সফরের কথা ছিল গত মার্চ মাসে৷ কিন্তু তা বাতিল করা হয় সন্ত্রাসবাদী হুমকীর পরিপ্রেক্ষিতে৷ ক্যোলার তাঁর জিবুতি সফরের সময় সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ওমর গুয়েলার-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷
জার্মান সংসদ-বুন্ডেসটাগ জার্মান সৈন্যদের জিবুতিতে অবস্থানের মেয়াদ গত নভেম্বর মাসে আরও বারো মাস বৃদ্ধি করে৷ গত ৬ই ডিসেম্বর জার্মান সৈন্যরা আন্তর্জাতিক বাহিনীর পর্যায়ক্রমিক নেতৃত্ব গ্রহণ করে ছয় মাসের জন্য৷ জিবুতিতে মোতায়েনরত জার্মান সৈন্যদের সংখ্যা আনুমানিক পাঁচশো৷
জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্যোলার তাঁর দশদিনব্যাপী আফ্রিকা সফরের সময় অন্যান্যের মধ্যে নাইজেরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বেনিন সফর করেন৷ বেনিন হল জার্মানির উন্নয়ন সাহায্যের একটি প্রধান দেশ৷ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে উঠার পর গত ৪০ বছরেরও বেশি সময়ে বেনিনে জার্মানির উন্নয়ন সাহায্যের পরিমাণ হচ্ছে আনুমানিক সাড়ে একত্রিশ কোটি ইউরো৷
জার্মান প্রেসিডেন্ট বেনিন-এর প্রেসিডেন্ট কেরেকু, সাংসদ গণ এবং সাংস্কৃতিক জগতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হন৷