জার্মানির সহায়তায় হাইড্রোজেন বিপ্লব ঘটছে নামিবিয়ায়
৮ এপ্রিল ২০২৫রুক্ষ নামিবিয়ার মরুভূমির ধু ধু প্রান্তরের মধ্যেই গড়ে উঠেছে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ কেন্দ্র। দেশের বৃহত্তম বন্দর ওয়লভিস বে-র ১২০ কিমি উত্তর-পূর্বে জার্মানির সহায়তায় তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেন প্রকল্প যা নামিবিয়াকে পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাছে।
হাইআয়রনের সবুজ লৌহ প্রকল্প
নামিবিয়ার সুর্যের তেজকে কাজে লাগাতে আরান্ডিস শহরের কাছে বসেছে ৪৪ হাজার সৌর প্যানেল।
মার্চের শেষ থেকেই পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন তৈরি করছে হাইআয়রন। সংস্থার প্রধান জোহানেস মিশেলস জানান, বছরে মাত্র ৩০ ঘণ্টা মেঘাচ্ছন্ন থাকে এই অঞ্চল।
হাইআয়রনের ওশিভেলা প্রজেক্ট নামিবিয়ার প্রথম আধুনিক লোহার কাজের সংস্থা। এখানে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে লোহার কাজ হয়। মিশেলসের দাবি, এরও ফলে নামিবিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হবে যারা কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ না করে লৌহ সামগ্রী তৈরি করবে।
নামিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হাগে গাইনগবের স্বপ্ন ছিল দেশের অর্থনীতিকে হাইড্রোজেন নির্ভর করে তোলা। দেশে বেকারত্ব এই মুহুর্তে ৩৭ শতাংশ। ফলে তারা এখন শিল্প পরিকাঠামোয় মনও দিয়েছে। এই বিশাল হাইড্রোজেন প্রকল্প হাইফেন সেই উদ্যোগের ফল।
ভাবা হচ্ছে, ২০২৮-এর মধ্যে নামিবিয়া ১০ লক্ষ টন পরিবেশবান্ধব অ্যামোনিয়া উৎপাদন করবে যা ইউরোপ এবং এশিয়ায় রপ্তানি করা হবে বলে ভাবা হয়েছে।
তবে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের তিরও উঠেছে। নামিবিয়ান চেম্বার অফ এনভায়রনমেন্টের আশঙ্কা এর ফলে ওই অঞ্চলের জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশানাল পার্কের ক্ষতি হবে। হাইফেন অবশ্য তা মানতে নারাজ। তারা স্থানীয় সমাজ ও পরিবেশ বিষয়ক একটি গবেষণা পত্রও ঘোষণা করেছে।
হাইফেন প্রজেক্টটি সম্পুর্ণ বাস্তবায়ন হবে ভবিষ্যতে। তবে হাইআয়রন এখনই প্রায় ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
জার্মানির ভূমিকা
এই প্রজেক্টের মাধ্যমে নামিবিয়ার কার্বনমুক্ত প্রকল্প আরো শক্তিশালী হবে।
হাইইরনের এই বিশাল কর্মকাণ্ডে রয়েছে জার্মান বিনিয়োগ। অর্থনীতি এবং জলবায়ু মন্ত্রণালয় বিনিয়োগ করেছে একও দশমিক তিন কোটি ইউরো।
অন্যদিকে জার্মানির শিক্ষা এবং গবেষনা মন্ত্রণালয় অন্যায়ও দুটি প্রকল্পে দুই দশমিক দুই কোটি ইউরো বিনিয়োগ করছে। এছাড়াও হাইফেনের মূল শেয়ারের মালিক পূর্ব জার্মানির শক্তি উৎপাদন সংস্থা এন্টারটাক।
জাসকো রাস্ট/এসসি/ডিডাব্লিউ