জার্মানির নতুন সরকারে যারা থাকছেন
জার্মানির নতুন মন্ত্রিসভায় সিডিইউ/সিএসইউ দল থেকে কারা থাকছেন সে বিষয়ে সোমবার জানিয়েছেন দলটির প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস৷ জোটসঙ্গী এসপিডি-র প্রতিনিধিদের নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি৷
চ্যান্সেলর: ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস
৬৯ বছর বয়সি এই আইনজীবী জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন৷ জাতীয় অর্থনীতির দোলাচল, ডানপন্থিদের উত্থান, আন্তর্জাতিক রাজনীতির নয়া সমীকরণ ইত্যাদি মিলিয়ে হয়তো কঠিন এক সময় পার করতে হতে পারে নতুন চ্যান্সেলরকে৷
চ্যান্সেলরের দপ্তর: টর্স্টেন ফ্রাই
সিডিইউর রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী টর্স্টেন ফ্রাইকে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সবচেয়ে কাছের ও বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ ২০১৩ সাল থেকে তিনি সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ দপ্তরের প্রধান হিসেবে তার কাজ হবে, সমস্যা এবং জটিলতাগুলো চিহ্নিত করে চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্ৎসের পথ সুগম করা৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ইয়োহান ভাডেফুল
২০০৯ সাল থেকে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিডিইউর ইয়োহান ভাডেফুল পররাষ্ট্রনীতি বিষয় দক্ষ বলে জানা যায়৷ ৬২ বছরের এই সাবেক সেনাসদস্যের আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভাল যোগাযোগ রয়েছে৷ বাস্তবধর্মী কূটনীতিক হিসেবে খ্যাত ইয়োহান ভাডেফুলের সাথে দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে ম্যার্ৎসের অনেক মিল রয়েছে৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: আলেক্সান্ডার ডোব্রিন্ট
ডোব্রিন্টের মন্ত্রণায়ল চালানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আমলে পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি৷ এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন এই রাজনীতিবিদ৷ বলা হচ্ছে, দায়িত্ব পেয়ে অভিবাসন বিষয়ে কঠোর হতে পারেন তিনি৷ তাছাড়া জার্মানিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান এবং সমলিঙ্গের বিয়েরও বিরোধী তিনি৷
অর্থ মন্ত্রণালয়: কাটেরিনা রাইশে
দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে থাকা সিডিইউর কাটেরিনা রাইশে আসছেন দেশটির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে৷ মাত্র ২৫ বছর বয়সে প্রথম সাংসদ নিবাচিত হয়ে সংসদের স্টেট সেক্রেটারি হয়েছিলেন রাইশে৷ এরপর ২০১৫ সালে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি৷ পুরো মনোযোগ দিয়েছিলেন ব্যবসায়৷
গবেষণা, প্রযুক্তি এবং মহাকাশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: ডোরোটে ব্যার
৪৭ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ নতুন সরকারের গবেষণা, প্রযুক্তি এবং মহাকাশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা ব্যার এরইমধ্যে সিডিইউ/সিএসইউ-এর পার্লামেন্টারি গ্রুপের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ তাছাড়া ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যার্কেল সরকারের ডিজিটালাইজেশন কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন৷
ডিজিটালাইজেশন এবং মডার্নাইজেশন মন্ত্রণালয় : কার্স্টেন ভিল্ডবেয়ার্গার
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিষয়ে দক্ষ ভিল্ডব্যার্গার নতুন সরকারের ডিজিটালাইজেশন এবং মডার্নাইজেশন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন৷ পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এই রাজনীতিবিদ টি-মোবাইল, বস্টন কনসাল্টিং, ইডটওএন-এ অবদান রেখে এই খাতে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন৷ সম্প্রতি তিনি ইউরোপের বৃহত্তম ইলেক্ট্রনিক স্টোর মিডিয়ামার্কটজাটুর্নের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়: নিনা ভার্কেন
২০১৩ সাল থেকে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিনা ভার্কেন৷ অভ্যন্তরীণ নীতি ইস্যু নিয়ে কাজ করা ভার্কেন এবার স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করবেন৷
শিক্ষা ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয়: কারিন প্রিন
কারিন প্রিনকে সিডিইউ দলের হাই-প্রোফাইল শিক্ষাবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া এই রাজনীতিবিদ এরইমধ্যে জার্মানির উত্তরাঞ্চলের শ্লেসভিগ-হলস্টাইন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন৷ এবার জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি৷
কৃষি মন্ত্রণালয়: আলোইস রাইনার
কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সিএসইউর রাজনীতিবিদ রাইনার৷ কসাইয়ের কাজের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রাইনার পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন৷ ২০২৩ সালে তিনি প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন৷
পরিবহন: পাট্রিক স্নাইডার
স্নাইডারকে দেশের পরিবহণব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন ম্যার্ৎস৷ ৫৬ বছরের পাট্রিক ২০০৯ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন৷ পরিবহণ ব্যবস্থা সামলাতে তার হাতে থাকবে মোটা অংকের অর্থ৷
ফেডারেল কমিশনার ফর দ্য কালচার অ্যান্ড দ্য মিডিয়া: ভলফ্রাম ভাইমার
প্রকাশক, ইতিহাসবিদ এবং সাংবাদিক ভলফ্রাম ভাইমারকে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে মনে করা হয়৷ ‘দ্য কনজারভেটিব মেনিফেস্টো’, ‘লঙ্গিং ফর গড’ নামে বই লিখেছেন তিনি৷ রক্ষণশীল দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং এবং ডি ভেল্ট-এ কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার৷