জার্মানিতে জোট সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা
১০ এপ্রিল ২০২৫সাধারণ নির্বাচনের প্রায় দেড় মাস পর শেষ পর্যন্ত মধ্য-দক্ষিণপন্থি সিডিইউ/ সিএসইউ-এর সঙ্গে মধ্য-বামপন্থি এসপিডির নতুন সরকার তৈরির রফা হলো। এই মুহূর্তে দেশের অন্দরে এবং বিদেশের সামগ্রিক চাপের মধ্যে তাড়াতাড়ি সরকার গঠনের লক্ষ্যেই রফা সূত্র তৈরি হয়।
কারা থাকবেন মন্ত্রিসভায়?
নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি সিডিইউ/ সিএসইউ নেতা এবং ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস। তবে দেশের বেশ কিছু বিশিষ্ট নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। মূল পদগুলো পুরুষদের দেওয়া হবে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
ভাইস চ্যান্সেলর এবং অর্থমন্ত্রী
এসপিডি-র সহকারী-নেতা লার্স ক্লিনবাইলকে এই দুই পদের দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে। এই পদে থাকলে ভবিষ্যতে তার চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়াইতে সুবিধা হবে। অপেক্ষাকৃতভাবে অল্পবয়সি ৪৭ বছরের লার্স সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের পরে দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তৈরি করেন।
বিদেশ মন্ত্রী
বিশেষজ্ঞদের মতে সিডিইউ/ সিএসইউ-এর ৬২ বছর বয়সি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ ইয়োহান ভাডিফিউল এই মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
তবে এই মন্ত্রকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৪ বছরের আরমিন লাশেট। সিডিইউ/ সিএসইউ-এর সাবেক এই নেতৃত্ব এর আগে ২০২১-এর নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়েছিলেন।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী
বাভারিয়ার রক্ষণশীল নেতা আলেক্সজান্ডার ডোব্রিন্ডটের এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। তবে এ ব্যাপারে তিনি নিজে আদৌ মন্ত্রিত্ব চান কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
এসপিডি পরিচালিত আগের সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস আরো একবার এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। রাশিয়ার আক্রমণাত্মক ভূমিকার সামনে ৬৫ বছরের এই রাজনীতিবিদ দেশের বিভিন্ন সমীক্ষায় জনপ্রিয়তম নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ক্লিনবাইল রাজি না হলে পিস্টোরিয়াস ম্যার্ৎসের ডেপুটি পদেও আসীন হতে পারেন।
সরকারে নারীদের ভূমিকা
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটের স্বেঞ্জিয়া শুলতজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে যেতে পারেন। অন্যদিকে, নির্মাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পুনর্বহাল থাকতে পারেন ক্লারা গেয়ভিটজ।
ব্রান্ডেনবার্গের সাংসদ সনিয়া আইখভেডে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে এই পদের অপর দাবিদার বর্তমান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ন্যান্সি ফিজারও।
বিতর্কিত মন্ত্রী সাসকিয়া এসকেন ক্যাবিনেটে থাকবেন কিনা, তা এখনো অস্পষ্ট। তিনি এই বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি।
সংসদের প্রেসিডেন্ট বেয়ারবেল বাস নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন। তাকে দলে নেত্রী এবং সংসদীয় দলের নেত্রী হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, তিনি তারই দলের শ্রমমন্ত্রী হুবার্টার হাইলের জায়গাতেও বসতে পারেন।
কারিন প্রিন জাতীয় শিক্ষামন্ত্রী হতে পারেন।
এসসি/এসজি (ডিপিএ)