জরিপ: উগ্র-ডানপন্থি দল এএফডিকে নিষিদ্ধে সায় অর্ধেক জার্মানের
৪ মে ২০২৫জরিপকারী সংস্থা আইএনএস-এর প্রতিনিধিত্বমূলক এক জরিপে ৬১ শতাংশ জার্মান এএফডিকে‘ডানপন্থি চরমপন্থি' হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ ৪৮ শতাংশ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন৷ ৩৭ শতাংশ নিষিদ্ধের বিপক্ষে আর ১৫ শতাংশ এই বিষয়ে জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন৷
জার্মানির সবশেষ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া এএফডিকে সম্প্রতি ‘ডানপন্থি চরমপন্থি' দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভি৷ কারণ হিসেবে তারা বলেছে, জাতিগত প্রশ্নে দলটির অবস্থান গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ এএফডি নির্দিষ্ট কিছু জনগোষ্ঠীকে সমাজে সমানভাবে অংশগ্রহণ থেকে বাদ দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে৷ সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য দলটির ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উস্কানির কথাও তারা উল্লেখ করেছে৷
এএফডিকে চরমপন্থি হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর দলটিকে নিষিদ্ধ করা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে জার্মানির রাজনীতিতে৷ আইএনএস-এর জরিপে ৩৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন এএফডিকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়া হলে তা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে৷ ৩৯ শতাংশ বলেছেন এতে গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে৷ ১৬ শতাংশ মনে করেন এর কোনো প্রভাবই পড়বে না৷ ১০ শতাংশ জানেন না বলে মত দিয়েছেন৷
তবে জার্মানির মূল দলগুলোর রাজনীতিবিদদের অনেকেই এএফডিকে নিষিদ্ধের বিপক্ষে৷ এমনকি দলটিকে চরমপন্থি হিসেবে ঘোষণা দেয়াকেও সমর্থন করছেন না কেউ কেউ৷ নিজের নামে নতুন দল প্রতিষ্ঠাকারী আলোচিত রাজনীতিবিদ সাহরা ভাগেঙ্কনেশট শনিবার এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন৷
জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসনও৷ বলেছেন জার্মানি ‘বার্লিন দেয়াল পুনঃনির্মাণ' শুরু করেছে৷ এফডিকে চরমপন্থি সংগঠন হিসেবে ঘোষণাকে ‘ছদ্মবেশী স্বৈরাচার' বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও৷ প্রতিক্রিয়ায় জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘‘আমাদের সংবিধান রক্ষার জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বাধীন তদন্তের ফলাফল হলো এই সিদ্ধান্ত৷'' তবে এর বিপক্ষে আবেদন করা যাবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷
এফএস/এআই (ডিপিএ, এপি, এএফপি, রয়টার্স)