চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: স্পিনের ফাঁদে আটকে নিউজিল্যান্ডের ২৫১
৯ মার্চ ২০২৫খেলা শুরুর আগেই নিউজিল্যান্ড খানিকটা ব্যাকফুটে, আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ম্যাট হেনরি চোটের কারণে একাদশের বাইরে। তার জায়গায় অলরাউন্ডার নাথান স্মিথ এসেছেন একাদশে, এই আসরে প্রথমবারের মত তার মাঠে নামা।
রোহিত শর্মার টসভাগ্য বদলায়নি। এই নিয়ে টানা ১২ ওয়ানডেতে টসে হারলেন রোহিত, ভাগ বসালেন ব্রায়ান লারার বিশ্বরেকর্ডের কৃতিত্বে। নিউজিল্যান্ড দলপতি মিচেল স্যান্টনার নিলেন ব্যাটিং।
৭ ওভারে নিউজিল্যান্ড বিনা উইকেটে ৫০, রাচিন রবীন্দ্রকে দেখাচ্ছিলো দারুণ আত্মবিশ্বাসী। এইটুকু পর্যন্ত ম্যাচটা নিউজিল্যান্ডেরই ছিল। বরুণ চক্রবর্তীর বলে মাঠের আম্পায়ার পল রেইফেল আউট দেয়ার পরও রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন রাচিন,পরের বলটা মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে না হলেও বেঁচে যান শ্রেয়াস আইয়ার ক্যাচ ছাড়ায়।
শুরুটা দেখে ভারতীয় সমর্থকরা বোধহয় ভেবেছেন, আবারও ফাইনালে নিউজিল্যান্ড জুজু ভর করেছে। কিন্তু হাওয়া বদলে গেল সেই ওভারেই। উইল ইয়ং লেগবিফোর উইকেটের শিকার হলেন বরুণের পঞ্চম বলে। ওয়ান ডাউনে নামা কেন উইলিয়ামসন একটা দর্শণীয় চার মারলেও ওয়ানডে ফাইনালের দূর্ভাগ্য কাটাতে পারলেন না।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ১২ রান, ২০১৯ এর ফাইনালে ৩০ আর এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ১১ রান। উইলিয়ামসনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। তার আগে অবশ্য বিপদজনক হয়ে ওঠা রাচিনকে বোল্ড করেছেন ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই।
১০ ওভার শেষ, প্রথম পাওয়ার-প্লে শেষে ১১তম ওভারে কুলদীপকে বোলিংয়ে আনেন রোহিত। প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়কের মান রেখেছেন কানপুরের ছেলে। পরের ওভারে কেন উইলিয়ামসনকেও কট অ্যান্ড বোল্ড করেছেন কুলদীপ। দুটো বড় শিকার নিজের প্রথম দুই ওভারেই বগলদাবা করেছেন কুলদীপ, সহজ করে দিয়েছেন অধিনায়কের কাজটা।
পাওয়ার প্লে'র পরেই ভারতের স্পিনাররা চেপে ধরেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। কুলদীপের জোড়া আঘাতের ক্ষত শুকাবার আগেই টম ল্যাথামকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন রবীন্দ্র জাদেজা।৩০ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান ল্যাথাম।
এরপর ড্যারেল মিচেল আর গ্লেন ফিলিপস মিলে খানিকটা স্বস্তি ফেরান কিউই সমর্থকদের মনে। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৫৭ রান, বল খেলেন ৮৭টি। বিপদজনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙ্গেন বরুণ চক্রবর্তী, ফিলিপসকে ৩৪ রানে বোল্ড করে। মিচেল একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ৯১ বলে, গোটা হাফসেঞ্চুরিতে মাত্র ১টা বাউন্ডারি।
মোহাম্মদ শামির বলে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে সমাপ্তি ঘটে মিচেলের ১০১ বলে ৬৩ রানের মন্থর ইনিংসের। যদিও অন্যপ্রান্তে মিচেল ব্রেসওয়েল ছিলেন কিছুটা মারমুখী, তার সঙ্গে ড্যারেল মিচেলের ষষ্ঠ উইকেটের জুটিটা ৪৭ বলে ৪৬ রানের। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মিচেল ব্রেসওয়েল। আরেক 'মিচেল', অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার রান আউট হন ৮ রান করে। সব মিলিয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
জয়ের জন্য ভারতের সামনে ২৫২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১০ ওভারে ৪০ রানে ২ উইকেট কুলদীপের, ১০ ওভারে ৪৫ রানে ২ উইকেট বরুণের। সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।