সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা ডয়চে ভেলেকে বলেন, "গ্রেপ্তার বা জামিনের ক্ষেত্রে পিক অ্যান্ড চুজ করা হচ্ছে- তা বলাই যায়। সর্বশেষ উদাহরণ দেখেন, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২২ মে। কিন্তু সারা দেশে আলোচনার কারণে তার আবেদন দুই দিন এগিয়ে মঙ্গলবার শুনানি করা হলো এবং তাকে জামিন দেওয়া হলো। এতে কি সাধারণ মানুষের কাছে ভালো বার্তা গেল? আবার দেখেন, আরেকজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার কয়েকমাস ধরে কারাগারে আছেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন। আপিল বিভাগে তার জামিনের শুনানি হওয়ার আগ মুহুর্তে তাকে চারটি পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো। তাহলে কি দু'জনের ক্ষেত্রে সমান আচরণ করা হলো?”
সাইদ আহমেদ রাজা আরো বলেন, "রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, নেতা, সাবেক বিচারপতি ও সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা মিলিয়ে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান জামিন পেয়েছেন। সাবের হোসেন চৌধুরীকে তো রিমান্ডে থাকার মধ্যে রিমান্ড শর্ট করে আদালতে হাজির করে জামিন দেওয়া হয়েছে। ফলে এই ঘটনাগুলো তো প্রমান করে জামিনের ক্ষেত্রে ‘পিক অ্যান্ড চুজ' হচ্ছে। আদালতের আদেশগুলো কিন্তু পরিবর্তন করা যায় না। এগুলো রেফারেন্স হিসেবে থেকে যাচ্ছে, যা পরবর্তীতে দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে।”