গাজা চুক্তি হলে পদত্যাগের হুমকি ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রীর
১৪ জানুয়ারি ২০২৫বেন-গেভির পদত্যাগ করলেও নেতানিয়াহুর সরকারের পতন হবে না। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঠেকানোর শেষ চেষ্টা হিসাবে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিককেও তার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেন-গেভির। এই সম্ভাব্য চুক্তিকে হামাসের কাছে একটি বিপজ্জনক আত্মসমর্পণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করা একটি পোস্টে বেন-গেভির বলেছেন, "এই পদক্ষেপ (চুক্তি) বাস্তবায়ন এবং গাজা উপত্যকায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর হামাসের কাছে ইসরায়েলের আত্মসমর্পণ রোধ করার একমাত্র সুযোগ। যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি আইডিএফ (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) সৈন্য নিহত হয়েছিল, এবং তাদের মৃত্যু বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য (এই পদক্ষেপ)।"
সোমবার এই চুক্তিতে আপত্তির কথা জানিয়েছেন স্মোট্রিকও। তবে নেতানিয়াহুর জোট ভাঙার হুমকি দেননি তিনি। বেশিরভাগ মন্ত্রীই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সমর্থন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চুক্তিতে যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে।
স্মোট্রিচ বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয়েছিলেন এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকার অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং বেশিরভাগ বাসিন্দাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করছে এবং কর্মকর্তারা সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে আশানুরূপ বক্তব্য দিয়েছেন।
কিছু জিম্মি ইসরায়েলিদের পরিবার এই চুক্তির বিরোধিতা করেছে। তাদের আশঙ্কা, সম্ভাব্য চুক্তিটিকতে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের কথা থাকার ফলে ফলে বাকি ৯৮ জন জিম্মির মধ্যে কয়েকজন মুক্তি পাবেন এবং বাকিরা জিম্মি অবস্থাতেই আটকে থাকবেন।
তবে কিছু জরিপে দেখা গেছে ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে এই ধরনের চুক্তির প্রতি ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।
এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)