গরমে ও ঘামে নাকাল কলকাতা
প্রবল গরমে ঝলসে যাচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। গরমে ত্রাহিরব উঠেছে মানুষের মধ্যে।
আবার গরম
আবারও গরমের দাপট ফিরছে কলকাতাসহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে। বাতাসে বাড়তি আর্দ্রতার ফলে বাড়ছে অস্বস্তি। বাইরে গেলেই ঘামে ভিজে যেতে হচ্ছে। ফলে রাস্তায় নামলেই আখের রস থেকে লেবুজল পান করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হচ্ছে। :ছবিতে দুই নারী আঁখের রস খাচ্ছেন।
আবার গরম
আবারও গরমের দাপট ফিরছে কলকাতাসহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে। বাতাসে বাড়তি আর্দ্রতার ফলে বাড়ছে অস্বস্তি। বাইরে গেলেই ঘামে ভিজে যেতে হচ্ছে। ফলে রাস্তায় নামলেই আখের রস থেকে লেবুজল পান করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হচ্ছে।
বৃষ্টির দেখা নেই রে
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই দুই জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের অন্য কোনো জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলার কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
তাপমাত্রা বাড়বে
আগামী তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। সেটা হলে তাপমাত্রা চলে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি। গরমের হাত তেকে বাঁচতে মাথা, মুখ ঢেকে নিয়েছেন এই যুবক।
এতদিন ধরে গরম সত্যিই বিরল
চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে বেশ কয়েক দিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির উপরেই। দোসর ছিল তাপপ্রবাহ। গরমের এই দীর্ঘ ‘স্পেল’ কলকাতায় বেশ বিরল। অতীতে গরম বেশি হলেই কালবৈশাখী হতো। তখন গরম কমে য়েত। এবার তা হচ্ছে না। ছবিতে একজন ডাব বিক্রেতা তার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। এই গরমে ডাবের দামও অনেক বেড়েছে।
৫০ বছরের নিরিখে
এমনকি গত ৫০ বছরে এপ্রিল মাসে রাজ্যে গরমের এমন তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায়নি। রোদের হাত থেকে বাঁচতে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে টুপি ও ছাতা।
সারাদেশে যেমন
মে মাসের গোড়া থেকেই দাবদাহে পুড়তে শুরু করেছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। সারা দেশ জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে বিচার করলে একেবারে উপরের দিকে আছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কলাইকুন্ডা। ছবিতে কলকাতার রাস্তায় তৃষ্ণা মেটাতে ঢালাও বিক্রি হচ্ছে আঁখের রস।
উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা, দক্ষিণে কবে?
উত্তরবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের ছ’দিন আগে প্রবেশ করেছে বর্ষা। ৩১ মে সেখানে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছিল। দক্ষিণবঙ্গে ১০ জুন, সোমবার বর্ষা প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার বর্ষা আসছে না। কবে আসবে বর্ষা, তা স্পষ্ট হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। কলকাতার গরমের হাত থেকে এভাবেই নিস্তার পেতে চাইছেন এক নারী।
এখনই নিস্তার নেই
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছিল তাপপ্রবাহের দাপট। সেই দাপট এখনও অব্যাহত। মে মাসের প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনই যে তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার মিলবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে কলকাতার মানুষকে আরো কিছুদিন পুদিনা পাতা ও লেবুর সরবতের উপর নির্ভর করে গরমের হাত থেকে বাঁচতে হবে।