অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, " ভারতে যেসব পণ্য যায় তার মধ্যে একমাত্র তৈরি পোশাক ভারতের সবখানেই যায়। কিন্তু আর যেসব পণ্য যেমন ফুড, বেভারেজ, ফার্নিচার, প্লাস্টিক পণ্য- এগুলো মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশে অনেক শিল্প ওই সাত রাজ্যকে টার্গেট করে বিস্তৃত হয়েছে। এখন দুইটি বন্দর দিয়ে যেতে পারবে। যদি কোলকাতা বন্দর হয়ে যেতে হয়, তাহলে অনেক খরচ আর সময় বাড়বে। বাংলাদেশি পণ্য তখন ভায়াবেল হবে না। আর মুম্বাই তো আরো বহু দূরে। তৈরি পোশাক কলকাতা বন্দর দিয়ে মেইনল্যান্ড ইন্ডিয়ায় গেলেও কমপক্ষে দুইগুণ বেশি সময় লাগবে। সড়ক পথে তিন দিন লাগলে এখন লাগবে ছয়-সাত দিন। ”
তার কথা, "এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের মধ্যে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে করতে হবে। কোনো কাউন্টার ব্যবস্থা বাংলাদেশের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। কারণ, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রধানত শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করে। এগুলো ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ থেকে এত অল্প সময়ে এবং কম দামে আনা সম্ভব নয়। আর সেখান থেকে যে খাদ্যপণ্য আমদানি করা হয় তা-ও কম দামে ও কম সময়ে আনা যায় বলে আমরা আনি। জরুরি প্রয়োজন মোকাবেলা করা হয়।”
"আসলে আমাদের এখন প্রয়োজন বিজনেস ডিপ্লোম্যাসি। পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। কোনো পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা লাভবান হবে না। ভারত কী চায় তা আমাদের বুঝতে হবে। আবার ভারতকেও বুঝতে হবে আমরা কী চাই।” বলেন তিনি।