কোহলির ব্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
৪ মার্চ ২০২৫বিরাট কোহলির আরেক নাম ‘কিং কোহলি'। নামটা যে এমনি হয়নি সেটা আরো একবার বোঝালেন এই কিংবদন্তি। রান তাড়ায় স্নায়ুর চাপে ছন্দ হারান অনেকে, অথচ কোহলির শ্রেষ্ঠত্ব এই জায়গাতেই। দুবাইয়ের ধীর গতির পিচে অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে কোহলি খেললেন ৮৪ রানের ধ্রুপদী ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার কপাল পুড়লো তাতেই।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিয়ে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রানের চ্যালেঞ্জ ভারত দাপটে পেরিয়ে যায় ১১ বল বাকি থাকতে। দুবাইয়ের প্রথম ইনিংসে গড় স্কোর ২২৯। তাই অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রান চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ ভারত স্বচ্ছন্দেই পেরিয়ে যায় কোহলির বীরত্বে।
গত আট বছরে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ টানা ১৬ বছর তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালই খেলতে পারেনি। সেই অপেক্ষা বাড়লো আরো। আর ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ধরে রাখলো নিজেদের দাপট। ২০১৩, ২০১৭ সালের পর টানা তৃতীয়বার ফাইনালের টিকিট পেলো দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বয়স ৩৬ পেরোলেও কোহলি যে ফুরিয়ে যাননি এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেটা বোঝাচ্ছেন ভালোভাবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেঞ্চুরির পর আজ খেললেন ৯৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৮৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
ওয়ানডেতে রান তাড়ায় সর্বোচ্চ ৮৭২০ রান শচীন টেন্ডুলকারের। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আজ ৮ হাজার রানের মাইলফলকে পা রাখলেন কোহলি। তবে টেন্ডুলকারের রান তাড়ায় গড় যেখানে ৪২.৩৩, সেখানে কোহলির প্রায় ৬৫। রান তাড়ায় অন্তত ১০০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির গড়ই সবচেয়ে বেশি।
আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ৫৮ ইনিংসে এতদিন সর্বোচ্চ ২৩টি পঞ্চাশের বেশি রানের স্কোর ছিল টেন্ডুলকারের। আজ ৫৩ ইনিংসে কোহলি তাকে ছাড়িয়ে খেললেন ২৪তম পঞ্চাশের চেয়ে বড় ইনিংস। তবে সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়ার সময় ৮৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন কোহলি। অ্যাডাম জাম্পার গুগলি লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বেন দারশুইসকে। ততক্ষণে ম্যাচ চলে এসেছিল ভারতের মুঠোয়।
আইসিসি টুর্নামেন্টে নকআউটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল ২৬১। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে আহমেদাবাদে সেই কীর্তি ছিল ভারতের। আজ লক্ষ্যটা ছিল আরো বড়। ভারতীয় ব্যাটাররা সেটাও পেরিয়ে গেলেন অনায়াসে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বাগতিক পাকিস্তান হলেও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত। দুবাইয়েই পুরো টুর্নামেন্ট খেলছে তারা। বাড়তি এই সুবিধা নিয়ে সেমিফাইনালের আগে প্রশ্ন করলে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছিলেন, ‘‘গ্রুপের তিন ম্যাচ খেলেছি আলাদা তিন পিচে। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে জানি না, তাহলে সুবিধা পেলাম কোথায়?''
আজ সেমিফাইনালে নতুন পিচেই খেলানো হয় ভারত-অস্ট্রেলিয়াকে। ধীর গতির এই পিচে বল থমকে আসায় দুই দলই একাদশ গড়ে স্পিনারদের প্রাধান্য দিয়ে। তবে ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিন আক্রমণ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। তাদের ভুগতে হয়েছে এজন্যই। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আজ বল করেছেন ৫ স্পিনার। তানভির সাংঘা ৬ ওভারে ৪১ রান আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬.১ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটহীন। অপর স্পিনাররাও প্রভাব রাখতে পারেননি।
রোহিত শর্মাকে নিয়ে ম্যাচের আগে কংগ্রেস মুখপাত্র শামা মোহম্মদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে অত্যন্ত মোটা রোহিত।'' এ নিয়ে ঝড় ওঠে ভারতের রাজনীতিতে। ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারও শামাকে একহাত নিয়ে বলেন, ‘‘আমি তো সবসময়ে বলি, রোগাদের চাইলে মডেলিং প্রতিযোগিতায় গিয়ে মডেলদের খুঁজে বের করুন।''
তবে ব্যাট হাসেনি রোহিতের। ২৯ বলে ২৮ করে কুপার কনোলির বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। এর আগে দুই বার ক্যাচও পড়ে রোহিতের। ১৩ রানে থাকার সময় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কনোলি আর ১৪ রানে থাকার সময় ২৫ মিটার দৌড়ে তার ক্যাচ ছাড়েন মার্নাস লাবুশেন। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রায় একইভাবে রোহিতের ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড।
অপর ওপেনার শুভমন গিল ৮ রানে বোল্ড হন বেন দারশুইসের বলে। এরপর শ্রেয়াস আইয়ার ও বিরাট কোহলির তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। তবে কনোলির বলে ৫১ রানে থাকার সময় গ্লেন ম্যাক্সওয়েল শর্ট মিডঅফে কোহলির ক্যাচ না ফেললে অন্যরকম হতে পারতো ম্যাচটা।
এরপরের বলেই অ্যাডাম জাম্পা ৪৫ করা শ্রেয়াসকে ফেরালে ভাঙে ৯১ রানের জুটিটা। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ১০ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন জাম্পা। আজ ৬০ রানে ২ উইকেট নিলেও ম্যাচে প্রভাব রাখতে পারেননি তিনি।
দলের ২২৫ রানে কোহলি ফেরার পর বাকি কাজটা সারেন লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া। পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৮ করে ফিরলেও রাহুল অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৪২ রানে।
এর আগে দিনের শুরুতেই রোহিত শর্মার মুখে ছিল অবিশ্বাসের হাসি। একটা-দুটো নয়, ওয়ানডেতে টানা ১৪তম টস হেরেছিল ভারত! এর ১১টিতে হেরেছেন রোহিত। টানা টস হারে বিশ্ব রেকর্ডটা আগেই হয়েছিল, আজ দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেটা সমৃদ্ধ হলো আরো।
অবিশ্বাসের হাসি ছিল স্টিভেন স্মিথের মুখেও। অক্ষর প্যাটেলের করা ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলটা স্মিথের ব্যাটের কানায় লেগে প্যাড ছুঁয়ে লাগে স্টাম্পে। কিন্তু বেলস পড়েনি, এমন সৌভাগ্যে স্মিথ কি না হেসে পারেন!
দুবাইয়ে ভারতীয় দর্শকদের অবশ্য মাথায় হাত তখন। ‘স্পিন মাস্টার' স্মিথ জীবন পেয়ে দীর্ঘশ্বাসই বাড়িয়েছেন ভারতের। দুবাইয়ের কঠিন পিচে স্মিথের ৭৩ ও অ্যালেক্স
ক্যারির ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ২৬৪ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়করা আক্রমণাত্মক সবসময়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে প্যাট কামিন্স চুপ করাতে চেয়েছিলেন ভারতীয় দর্শকদের। একপেশে ম্যাচ জিতে গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের লাখখানেক দর্শককে চুপও করিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আগেও একই হুমকি দিয়েছিলেন কামিন্স।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনালের আগে তেমন হুমকি দেননি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, ‘‘স্টেডিয়ামকে চুপ করাবো, এমন বার্তা দিতে চাই না। আশা করি আমরা খুব ভালো খেলবো।”
কণ্ঠে ঝাঁঝ না থাকার কারণ, দল ঘোষণার পর নানা কারণে স্কোয়াডের ৫ জনের ছিটকে যাওয়া। সেই তালিকায় আছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউডের মতো তারকা। এমনকি সেমিফাইনালের আগেও চোটের জন্য বাদ পড়েছেন ম্যাথু শর্ট, দলে নেওয়া হয় কুপার কনোলিকে। এমন দল নিয়ে মুখে বড় বড় কথা না বলে মাঠে কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলেন স্মিথ। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে করেছেনও সেটা।
ভারতের বিপক্ষে স্মিথ নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন সবসময়। ওয়ানডেতে তার ১২ সেঞ্চুরির ৫টিই ভারতের বিপক্ষে। তার ওয়ানডে গড় যেখানে ৪৩.২৮, ভারতের বিপক্ষে সেটা প্রায় ৫৩.১৯। দুবাইতেও স্মিথ খেলেছেন ৯৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস। তার সুইপ, আপার কাট, ড্রাইভ, পুল শটে ঠিকরে বেরুচ্ছিল আত্মবিশ্বাস। তবে বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ শামির ফুলটসে এগিয়ে এসে লাইন মিস করে। সুন্দর একটা ইনিংসের এমন সমাপ্তি মানতে পরছিলেন না স্মিথও।
এই ইনিংসে অবশ্য রেকর্ড করেছেন একটা। আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচে একই দলের বিপক্ষে যৌথ সর্বোচ্চ ৩টি করে ফিফটি প্লাস ইনিংস এতদিন ছিল শুধুই ভারতের যুবরাজ সিং (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া) আর নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনের (বিপক্ষ ভারত)। আজ দুজনের পাশে নাম লেখালেন স্মিথও।
ট্রাভিস হেডকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে ম্যাচের আগে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ১২০ বলে ১৩৭ রানে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ভারতকে হারিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ভারতকে একাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন হেড। লর্ডসে ১৭৪ বলে খেলেছিলেন ১৬৩ রানের ইনিংস।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি হেড। আউট হয়েছেন ৩৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৩৯ করে। মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে তুলে মারতে গিয়েলং অফে ক্যাচ দেন শুভমন গিলকে।
হেডকে করা জীবনের প্রথম বলেই উইকেট পাওয়া বরুণ কিন্তু হতে পারতেন স্থপতি কিংবা সিনেমার পরিচালক। তামিলনাড়ুর এসআরএম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করে স্থপতি হিসেবে তিনি চাকরিও করেছিলেন একটি কোম্পানিতে। ২০১৪ সালে অভিনয় করেছিলেন ‘জিভা' নামের একটি তামিল সিনেমায়। সেই বরুণ ক্রিকেট বেছে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ-সেরা। আজ হেডের বিপক্ষে করা প্রথম বলেই ফেরালেন ভয়ংকর এই ব্যাটারকে। বরুণের জীবনটা যেন সিনেমার মতোই!
ইনজুরির জন্য ছিটকে যাওয়া ম্যাথু শর্টের জায়গায় সুযোগ পাওয়া কুপার কনোলি ব্যর্থ ছিলেন ওপেনিংয়ে। ৯ বল খেলে ০ রানে আউট হন মোহাম্মদ শামির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। আইসিসি টুর্নামেন্টে চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ২১ বছর ১৯৪ দিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করলেন কনোলি। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ২০ বছর ২২৫ দিনে সবচেয়ে কম বয়সি হিসেবে খেলেছিলেন অ্যান্ড্রু জেসার্স।
৫৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর হালটা ধরেছিলেন মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ। তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ২৯ করে এলবি হন লাবুশেন। জস ইংলিসও ভালো শুরু করে ফেরেন ১১ রানে। তাকে কোহলির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জাদেজা।
এরপর ৫ বলের ব্যবধানে স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফিরলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। শামির বলে স্মিথ বোল্ড হওয়ার পরই অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েল। ৫ বলে ১ ছক্কায় ৭ করেছিলেন তিনি।
২২.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ করায় ৩০০'র স্বপ্নই দেখছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে ৪০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয় ৬ উইকেটে ২১৩। ভারতীয় পেসার আর স্পিনাররা মাঝখানের ওভারগুলায় চড়াও হতে দেননি অস্ট্রেলিয়াকে।
তারপরও অস্ট্রেলিয়ার স্কোরটা ২৬৪-তে পৌঁছে অ্যালেক্স ক্যারি ও টেইলএন্ডারদের দৃঢ়তায়। ৫৭ বলে ৮ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৬১ করে রান আউট হন ক্যারি। বেন দারশুইস ১৯ আর নাথান এলিস করেন ১০।
দুবাইয়ের স্পিন-বান্ধব উইকেটে ভারত একাদশ গড়েছে ৪ স্পিনার নিয়ে। তবে ইনিংসের সবচেয়ে সফল পেসার মোহাম্মদ শামি। ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভারতের চার স্পিনারের মধ্যে কুলদীপ যাদব ছিলেন উইকেটহীন। বরুণ চক্রবর্তী ও রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া : ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪/১০ (স্মিথ ৭৩, ক্যারি ৬১, হেড ৩৯ ; শামি ৩/৪৮,বরুণ ২/৪৯)
ভারত : ৪৮.১ ওভারে ২৬৭/৬ (কোহলি ৮৪, শ্রেয়াস ৪৫, রাহুল ৪২* ; জাম্পা ২/৬০, এলিস ২/৪৯)
ফল : ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।